ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

নতুন করে মঞ্চে এলো ‘ওরা কদম আলী’

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৪ আগস্ট ২০১৬

নতুন করে মঞ্চে এলো ‘ওরা কদম আলী’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চের আলোচিত নাটক ‘ওরা কদম আলী’। অসংখ্যবার মঞ্চস্থ নাটকটি দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছে দর্শকের কাছে। নাট্যকার মামুনুর রশীদ রচিত দর্শকপ্রিয় নাটকটি আবার মঞ্চে এলো নতুনরূপে। সাড়া জাগানো প্রযোজনাটিকে সঙ্গী করে আবির্ভূত হলো নতুন নাট্যদল দৃশ্যকাব্য। প্রথম প্রযোজনা হিসেবে দলটি বেছে নিয়েছে সাড়া জাগানো এই নাটকটি। নির্দেশনা দিয়েছেন এইচএম মোতালেব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে প্রযোজনাটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। নাটকটি মঞ্চায়নের আগে উদ্বোধনী আলোচনায় অংশ নেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী ও পথনাটক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ গিয়াস। সভাপতিত্ব করেন মনিরুল ইসলাম বেলাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটকটির নির্দেশক এইচএম মোতালেব। মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা যখন নাটকটি মঞ্চে এনেছিলাম তখনকার সমাজ ও দর্শক এটিকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে এ নাটকটি নিয়ে আমরা গ্রামগঞ্জে গিয়েছিলাম, সাড়াও পেয়েছিলাম। এখন আর সেই দর্শক আছে না মৃত্যুবরণ করেছেন-তা জানা নেই। সে সঙ্গে দৃশ্যকাব্য নাট্যদলটি কিভাবে মঞ্চে এনেছে, সেটিও দেখার বিষয়। তবে এই নাটকের মাধ্যমে একটি নতুন নাট্যদলের আবির্ভাবকে সাধুবাদ জানাই এবং তাদের সাফল্য কামনা করি। ‘ওরা কদম আলী’ নাটকে শ্রেণী বিভক্ত সমাজের একটি অতি সাধারণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বোবা কদম আলী, নায়েব আলী বেপারী, তাজু, সর্দার রূপয়, চা-ওয়ালা, বইওয়ালাসহ বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক উঠে এসেছে। নাটকে বোবা কদম আলীর লড়াই আপত দৃষ্টিতে শিশু তাজুকে নিয়ে হলেও তা আসলে সমাজের একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত চেহারা উঠে আসে। চীনা নেতা শিয়াও পিং স্মরণ ॥ তৃতীয় বিশ্বের মেহনতী মানুষের মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন চীনের মহান নেতা দেং শিয়াও পিং। একবিংশ শতাব্দী যে এশিয়ার শতাব্দী হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে যাচ্ছে, এজন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তিনি। সে সঙ্গে চীনের অভ্যন্তরীণ নীতি পরিবর্তন ও সংস্কার করে দেশটির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার চীনের শান্তি ও অগ্রগতির মহান নেতা দেং শিয়াও পিংয়ের ১১২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেং জিয়াও পিং স্টাডি সেন্টার আয়োজিত জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং জিয়ান, সাংসদ আশিকুর রহমান, চীনে নিযুক্ত সাবেক বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত আব্দুল আজিজ প্রমুখ। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের সমন্বয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠান। চীনারাষ্ট্রদূত বলেন, দেং শিয়াও পিং ছিলেন দেশটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও চীনা বিপ্লবের মহান যোদ্ধা। তিনি চীনকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। চীনের আজকের অগ্রগতিতে তার ভূমিকা চিরস্মরণীয়। কর্মশালার মাধ্যমে নাট্যকর্মী নিচ্ছে বেঙ্গল থিয়েটার ॥ ‘এক বিশ্ব এক নাট্য’ স্লোগানে নাট্যদল বেঙ্গল থিয়েটারের যাত্রা শুরু হয় এ বছরের শুরুতে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী নাট্যরীতিসহ বিশ্বনাট্যকে ছোঁয়ার প্রত্যয়ে দলটি ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মূকনাট্য ‘সময় ৭১’-এর দুটি প্রদর্শনী করেছে । একঝাঁক তরুণ-তরুণীর সমন্বয়ে তাদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রযোজনা ‘জলপুত্র’ শিগগিরই মঞ্চে আনতে যাচ্ছে। সেই প্রস্তুতি পর্বে কিছুসংখ্যক নাট্যকর্মী নিচ্ছে বেঙ্গল থিয়েটার। কাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ৩ দিনব্যাপী কর্মশালাটিতে নাটক রচনা, কোরিওগ্রাফি ও অভিনয়বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন নাট্যজন মামুনুর রশিদ, মঞ্চকুসুম শিমূল ইউসুফ, অভিনেতা ও নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম, নাট্যকার ও গবেষক সাইমন জাকারিয়া, নাট্যকার রুমা মোদক, বরেণ্য নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী-নির্মাতা নাজনীন হাসান চুমকী।
×