স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ মহানগরবাসীর পানি সঙ্কট নিরসনের জন্য ফুলতলায় বাস্তবায়িত অন্তর্বর্তীকালীন পানি সরবরাহ প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রায় আট বছর পর এই প্রকল্পের ওপর দায়েরকৃত মামলা সম্প্রতি সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ খারিজ করে দেয়ায় প্রকল্পটি চালু ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বাধা দূর হয়েছে। প্রকল্পটি কেসিসি বাস্তবায়ন করলেও এটি খুলনা ওয়াসাকে হস্তান্তর করা হবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা প্রকল্পটি সচল করে হন্তান্তরের জন্য কেসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি চালু হলে অতিরিক্ত দেড় লাখ মানুষ সুপেয় পানি সুবিধার আওতায় আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা ওয়াসা সৃষ্টির আগে নগরীর সুপেয় পানি সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে ২০০২ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ফুলতলা উপজেলার আটরা-গিলাতলা এলাকায় অন্তর্বর্তীকালীন পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে। প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৭ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রোডাকশন ওয়েল ও বুস্টার পাম্প নির্মাণ ছাড়াও ফুলতলা থেকে নগরী পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়। এদিকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফুলতলা এলাকায় পানিশূন্যতা এবং পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে বলে যুক্তি দেখিয়ে বেলা নামক এনজিও ২০০৬ সালে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। শুনানির পর আদালত মামলা খারিজ করে দেয়। বাদী পক্ষ ২০১২ সালে লিভ টু আপীল করলে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ চলতি মাসে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। খারিজ আদেশ পাওয়ার পর ওয়াসা মহানগরীতে ক্রাশ প্রোাগ্রামের আওতায় অন্তর্বর্তীকালীন পানি সরবরাহ প্রকল্প জরুরী ভিত্তিতে হস্তন্তর করার জন্য কয়েক দিন আগে কেসিসিকে অনুরোধ করেছে। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ পিইঞ্জ বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। প্রকল্পটি চালু করে ওয়াসাকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কেসিসি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখানকার ২০টি প্রোডাকশন ওয়েল চালু হলে দৈনিক দুই কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে। এতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানির সুবিধা পাবে।
যশোরে শেল্টার হোম থেকে পালিয়েছে তরুণী, আহত ১
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের শেল্টার হোম থেকে এক তরুণী পালিয়েছে। পালানোর সময় আহত অপর বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে উদ্ধার করে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়ায় অবস্থিত শেল্টার হোমে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া তানিয়া ও আহত হাওয়াকে প্রায় এক বছর আগে পুলিশ উদ্ধার করে শেল্টার হোমে পাঠিয়েছিল। তবে এদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পুলিশ দিতে পারেনি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করা হয়েছে।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতের কোন এক সময় শেল্টার হোমে থাকা তানিয়া (১৮) ও বাকপ্রতিবন্ধী হাওয়া (২০) নামে দুটি মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সিঁড়ির গ্রিল ভেঙ্গে ছাদে ওঠে। এরপর পাইপ বেয়ে তানিয়া নেমে পালিয়ে গেলেও হাওয়া নামতে গিয়ে পড়ে আহত হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের শেল্টার হোমের ম্যানেজার লাবণী সুলতানা জানান, তানিয়া ও হাওয়া দুটি মেয়েকেই প্রায় এক বছর আগে পুলিশ উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে তাদের শেল্টার হোমে পাঠিয়েছিল।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: