ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালিয়াজুরি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

১০ নার্স পদে নেই একজনও!

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৯ মে ২০১৬

১০ নার্স পদে নেই একজনও!

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২৮ মে ॥ ‘ডাক্তারবিহীন হাসপাতাল’ হিসেবে খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইতোপূর্বে বহুবার সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছে। এবার শিরোনাম হচ্ছে- ‘নার্সবিহীন হাসপাতাল’ হিসেবে। জেলার হাওড়দ্বীপ খ্যাত খালিয়াজুরির ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি নার্সের (সেবিকা) পদ থাকলেও বাস্তবে একজনও কর্মরত নেই। একজন বেসরকারী নার্স আর ওয়ার্ডবয়দের দিয়ে চলছে হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবা। জানা গেছে, খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ব্রাদারের পদসহ মোট ১০টি নার্সের পদ আছে। এসব পদের বিপরীতে সর্বশেষ তিনজন কর্মরত থাকলেও বর্তমানে একজনও নেই। পাঞ্চেলী ঢালী এবং মমতাজ বেগম নামে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়নকৃত দুই নার্স বেশ কিছুদিন যাবত প্রেষণে (ডেপুটেশনে) অন্যত্র কাজ করছেন। এছাড়া কল্পনা আক্তার নামে আরেকজন গত ১৮ মে বদলি হয়ে ঢাকায় চলে যান। এর ফলে বর্তমানে একজন সরকারী নার্সও নেই ৩০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। তবে সম্পা রানী তালুকদার নামে একজন বেসরকারী নার্স সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। একটি আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীর সহায়তাপুষ্ট ‘এমএনসিএইচ’ নামক একটি প্রকল্পের নার্স তিনি। তিনিও আবার অল্প কিছুদিনের মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাবার অপেক্ষায় আছেন। তার পাশাপাশি দু’জন ওয়ার্ডবয় সেখানে নার্সের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সুবীর চন্দ্র দাস জানান, ‘নার্স না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’ এদিকে সিভিল সার্জন ডাঃ বিজন কান্তি সরকার বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উলিপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত এক স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের আনন্দবাজারে তেলের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে একজন। এ সময় আহত হয়েছে ১৫ জন। এদের মধ্যে গুরুতর ৩ জনকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, এই ইউনিয়নের আনন্দবাজারে মোজাম্মেল পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকা-ের সময় দোকান থেকে খরচ নিতে আসা ক্রেতা শান্তিচরের এনসার আলীর পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৩৫) গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় আহত হয় ১৫ জন। এদের মধ্যে দোকানদার মোজাম্মেল, পল্লী চিকিৎসক বাবলু ও মাফু গুরুতর আহত হলে তাদের কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়াও অগ্নিকা-ে বাজারের ৫টি দোকান ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আরডিআরএসের ফেডারেশন অফিস ভস্মীভূত হয়। পরে স্থানীয়দের ঘণ্টাখানেক চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
×