ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাবার বাড়ি আসার আনন্দে মেয়েরা থাকে উন্মুখ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৪ মে ২০১৬

বাবার বাড়ি আসার আনন্দে মেয়েরা থাকে উন্মুখ

মধুমাসের নাম জ্যৈষ্ঠ। আম, জাম, লিচু, কাঁঠালসহ নানা ফলের সমারোহ হয় এ মাসে। এ জন্য বাঙালির কাছে এ মাস মধুমাস। আবহমানকাল থেকে বাঙালি রসনা মিটিয়ে আসছে এসব ফল খেয়ে। আবার বধূরা স্বামীগৃহ থেকে বাপের বাড়ি নাইওর আসে এ মাসেই। তাই বাংলা বর্ষপঞ্জিকায় মধুমাস জ্যৈষ্ঠ অন্য মাস থেকে একটু আলাদা। আনন্দেরও বটে। মধুমাস জ্যৈষ্ঠ নিয়ে কবিরাও লিখেছে অনেক কবিতা-গান। এ মাস এলেই মনে পড়ে ছোটবেলায় পড়া পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের সেই পদ্য- ‘আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা/ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে/মামার বাড়ি যাই, মামার বাড়ি ঝড়ের দিনে/আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে/রঙিন করি মুখ।’ তবে পঞ্জিকার হিসাবে রবিবার থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু হলেও বাজারে মধুমাসের ছোঁয়া লেগেছে আগেই। বৈশাখের শেষের দিকেই বাজারে উঠেছে লিচুসহ মৌসুমী ফল। আর এসব ফলফলাদি জানান দিচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা। জ্যৈষ্ঠ মাস এলেই চারিদিকে ম ম করে পাকা ফলের গন্ধ। গাছে গাছে থাকে পাকা আম, লিচু, কাঁঠাল, জাম, তরমুজ, বাঙ্গী ইত্যাদি। রসে ভরা টইটম্বুর বাহারী ফলের স্বাদ আস্বাদনে বাঙালি মাতোয়ারা থাকে জ্যৈষ্ঠ মাসে। অপরদিকে ঘরের বউরা কিছু দিনের জন্য স্বামীগৃহ ছেড়ে নাইওর যায় বাপের বাড়ি। গ্রামবাংলার প্রচলিত নিয়মানুযায়ী জ্যৈষ্ঠমাসে বধূকে নেয়া হয় নাইওরে। বউয়ের বাড়ি থেকে এ মাসে জামাইয়ের বাড়িতে পাঠানো হয় হরেকরকম ফল। আদিকাল থেকে এ রীতি মেনে আসছে বাংলার নারী-পুরুষ। -এমএ রকিব, কুষ্টিয়া থেকে
×