
ছবি: জনকণ্ঠ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ক্যানেল ঘাট এলাকায় একটি বাঁশের সাঁকোই হয়ে উঠেছে সাত গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচলের পথ। প্রায় ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিশু, গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোটির অনেক বাঁশ পচে গেছে, কোথাও কোথাও খুঁটি দেবে গেছে, হেঁটে চলার সময় কাঁপে পুরো সাঁকো। বর্ষায় বৃষ্টির দিনে বাঁশ পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন বলেও জানালেন স্থানীয়রা।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর বেপারী পাড়া, সাহাজদ্দিন বেপারী পাড়া, লালু মণ্ডল পাড়া, নতুন পাড়া, ইদ্রিস পাড়া, নাসির সরদার পাড়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সীবাজারসহ সাতটি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ প্রতিদিন পার হন এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই। কৃষকরা কৃষিপণ্য বহনে সমস্যায় পড়ছেন, শ্রমজীবী মানুষ পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।
ইদ্রিস পাড়া গ্রামের কৃষক সহিদ শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি পাকাবাঁধা সেতু নির্মাণ। বারবার দাবি জানালেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। ভারী মালামাল নিয়ে চলাচল অসম্ভব। আমরা প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে যাতায়াত করি।”
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ফয়সাল জাহাঙ্গীর স্বপ্নীল বলেন, “খুব শিগগিরই আমরা সরজমিনে সাইটটি পরিদর্শন করব। ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে দ্রুত নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো তাদের দুঃসহ জীবনের অংশ হয়ে গেছে। এবার তারা চান—একটি স্থায়ী সেতু—যা হবে নিরাপদ, টেকসই এবং সহস্রাধিক মানুষের জীবন রক্ষার ভরসা।
মুমু ২