ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

গুপ্তহত্যা ॥ মোকাবেলার জন্য দরকার দলীয় শৃঙ্খলা ও গণসচেতনতা

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

গুপ্তহত্যা ॥ মোকাবেলার জন্য দরকার দলীয় শৃঙ্খলা ও গণসচেতনতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. রেজাউল করিম কিংবা কলাবাগানের জোড়া খুনকে হাল্কা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলোর বিশ্লেষণ করতে হবে। আমাদের সাংবাদিকতার কিংবদন্তি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এভাবে মূল্যায়ন করেছেন, “বর্তমানের টার্গেটেড কিলিং আরো বড় কিলিং ঘটানোর রিহার্সাল এবং এর আসল টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।” গাফ্ফার চৌধুরী এ ব্যাপারে দেশের ছোট-বড় সকল গণতান্ত্রিক দল, দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের সময় থাকতে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “ওরা সফল হতে পারলে বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো কিলিং ফিল্ড বানাবে এবং তখন তা কোনভাবেই প্রতিহত করা যাবে না বা প্রতিহত করা অসম্ভব হবে পড়বে।” আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর কলামটি পড়ে অনেকক্ষণ কারও সঙ্গে কথা বলিনি। কেননা, তিনি এক জীবন্ত ইতিহাস এবং তার বিশ্লেষণ ভবিষ্যদ্বাণীর মতো। যদ্দুর মনে পড়ে গাফ্ফার চৌধুরী তখন জনপদ পত্রিকার সম্পাদক। সময়টা ১৯৭৪ সাল। চিলিতে সামরিক অভ্যুত্থানে সে দেশের জনগণের অবিসংবাদী নেতা ড. আলেন্দে নিহত হয়েছেন। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সে ঘটনা টেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ‘কথাটা যখন উঠেছে তখন খোলাখুলি বলা দরকার’ এ শিরোনামে একটি কলাম লিখেছিলেন। সম্ভবত তিন কিস্তির শিরোনামটি সেদিন রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ছাত্র এবং আমাদের মতো তরুণ সাংবাদিকদের মনেও ভীষণ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আনন্দে নয় শঙ্কায়। তার মাত্র এক বছর পরই বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও জাতীয় ৪ নেতার হত্যাকা- ঘটেছিল এবং বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর ক্ষেত্র তৈরি করেছিল। মোশতাক-জিয়া-এয়ার ভাইস মার্শাল তোয়াবরা যেন বাংলাদেশটাকে উল্টে দিতে চাইছিল। মনে পড়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এয়ার ভাইস মার্শাল তোয়াবের উদ্যোগে এক ইসলামী জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে দেশীয় ছাড়াও বিদেশীদের এনে ওয়াজ করানো হয়েছিল। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থানরত কালো আফ্রিকার কোন এক দেশের (সম্ভবত বোকো হারামের দেশ নাইজিরিয়ার ব্যবসায়ী) এক ব্যক্তিকে দিয়েও ওয়াজ করানো হয়েছিল। অর্থাৎ ইসলাম ধর্মীয় বয়ান। ভদ্রলোক ইসলামী আদৌ চিন্তাবিদ কিনা বা ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান আছে কি-না কেউ জানত না। এমনকি ঐ সমাবেশে কানকাটা এক ব্যক্তি রুমাল দিয়ে কান ঢেকে বক্তৃতা করছিলেন। তখন কথা উঠেছিল ভদ্রলোক একাত্তরে রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা খেয়ে এক কান হারিয়েছিলেন। বাঙালী মুসলমানের এক সমস্যা হলো কোন বিদেশী মুসলমান পরিচয়ের ব্যক্তি, সে সাদা হোক কালা হোক, অনেক বড় মুসলমান মনে হয়। কোন নামাজের জামাতে উপস্থিত হলে তাকে ইমামের জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়। এ কারণেই কিছু মানুষের বিশ্বাসকে অন্ধবিশ্বাস বলে মনে হয়। শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আসল টার্গেটের যে কথা বলেছেন তার কতগুলো কারণও উল্লেখ করেছেন। আমি তার সঙ্গে যোগ করতে চাই যে, শেখ হাসিনা আজ রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা, যোগ্যতা এবং দূরদর্শিতার যে উচ্চতায় দেশ-বিদেশে আসন করে নিয়েছেন তার তুলনায় কেবল বিশ্বব্যাপী কয়েকজনের নাম আসতে পারে। যেমন এ মুহূর্তে রাশিয়ার পুতিন, জার্মানির এঞ্জেলা মার্কেল বা আরব আমিরাতের শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নাম। বাংলাদেশে তার প্রতিপক্ষ বলে দাবিদার খালেদা জিয়ার এরপর রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া দরকার। যার ভরসায় বুক বেঁধে এখনও তিনি নাচছেন সেই অর্বাচীন তারেক রহমান, তাকে দিয়ে হাওয়া ভবন জাতীয় অর্থ লোপাট কেন্দ্র বানানো ছাড়া আর কিছু সম্ভব নয়। বিএনপি নামক দলটি এখন কাগুজে বাঘ। আর সে কারণে খালেদা জিয়া এখন সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীর দ্বারস্থ হয়েছেন। জঙ্গীরা এই সুযোগে তাকে নেতা বানিয়ে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। করবেনইবা কি ভদ্রমহিলা! শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তাতে করে খালেদা জিয়ার প্রকাশ্য এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার কোন সুযোগ বা ক্ষমতা কোনটাই আর থাকল না। এই তো এবারও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় ১৪৬৬ মার্কিন ডলার, জিডিপি ৭% ছাড়িয়ে গেছে, বৈদেশিক রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গ্রামীণ অর্থনীতি শত বছরের মধ্যে তুলনাহীন প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা। গ্রামে একজন সাধারণ মানুষও এখন মেহমানদারি করেন পোলাও-মাংস দিয়ে। গ্রামের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজের পোশাক শহরের ছেলে-মেয়েদের মতো। ট্রাডিশনই পাল্টে গেছে। রাজধানী ঢাকায় মগবাজার মোড় এবং রেলক্রসিং-এর দুর্বিষহ ট্রাফিক জ্যাম ছিল বিভীষিকাময়। আর আজ? হলি ফ্যামিলি থেকে নাবিস্কো কিংবা নাবিস্কো থেকে হলি ফ্যামিলি এক পলকেই আসা-যাওয়া করা যায়। এই প্রজেক্টের বাকি কাজÑ বাংলামটর থেকে মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ হয়ে শান্তিনগর মোড়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে নাগরিকরা অবশ্যই শেখ হাসিনার সুস্থ দীর্ঘায়ু কামনা করবেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মূল ঢাকার দিকে যাত্রা করলে ফ্লাইওভারগুলো যেভাবে হাত-পা ছড়িয়ে দুইদিকে চলে গেছে তা এক অভাবনীয় দৃশ্য। এদিকে কুড়িল আরেকদিকে মিরপুর, দেখলে মনেই হবে না এটা ঢাকা বা বাংলাদেশ। মনে হবে কোন পশ্চিমা উন্নত দেশের রাজধানী শহর। এমনি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, স্থলসীমা চুক্তি বা ছিটমহলবাসীর ৭০ বছরের অবরুদ্ধ জীবন থেকে মুক্তি, খালেদার রেখে যাওয়া ৩২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত থেকে ৯ বছরের মাথায় আজ ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন ও অবিরাম বিদ্যুত সরবরাহÑ খালেদা বা তার অর্বাচীন পুত্র এসবের মোকাবেলা করবেন কিভাবে? আর তাই যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হলে জামায়াত-শিবিরের ওপর ভর করে গোটা ২০১৩ সাল রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নাশকতা চালিয়ে মানুষ হত্যা করে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছিলেন ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করে। কিন্তু দেশব্যাপী রাস্তা-গাছ কেটে, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, রেপের ঘটনা ঘটিয়েও নির্বাচন ঠেকাতে পারলেন না। বরং নিজেই ঘরে ঢুকলেন। হেফাজত নামিয়েও সুবিধা হলো না। ২০১৫-এর জানুয়ারি আবার টানা ৯২ দিন অবরোধ চালালেন। এবার পেট্রোলবোমা, কি ভয়াবহ পরিস্থিতি। শেখ হাসিনা অত্যন্ত ঠা-া মাথায় সবকিছু এমনভাবে দমন করলেন যে, খালেদা জিয়ার রাজনীতি একেবারে পকেটবন্দী-গৃহবন্দী হয়ে গেল। অবশ্য তারেক রহমান দুর্নীতির মামলা মোকাবেলা না করে স্বেচ্ছায় লন্ডনে ফেরারি। খালেদা জিয়া ড্রয়িং রুমে বসে চক্রান্ত করছেন আর পুত্র তারেক লন্ডনে বসে। তবে এবারের চক্রান্তের ধরন ভিন্ন। এরই মধ্যে কথা উঠেছে সাম্প্রতিককালে যত গুপ্তহত্যা হয়েছে এবং হচ্ছে তার নেপথ্যে খালেদা ও তার পলাতক পুত্র তারেক। এবারের গুপ্তহত্যার ধরনও ভিন্ন। বিদেশী নাগরিক বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় যাজক শিকার হচ্ছেন। হত্যাকারীদের বিদেশী এজেন্টরা এসব হত্যাকা-কে আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্যে বিদেশ থেকে এক একটি হত্যার দায় স্বীকারের কথা মিডিয়ায় পাঠাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকেও পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মিসর, সিরিয়ার মতো সন্ত্রাসীদের হটবেড বানানো। তবে যতই বিদেশ থেকে দায় স্বীকারের কথা বলানো হোক, আসল উগ্রবাদী হচ্ছে জামায়াত-শিবির এবং তাদের নেতা খালেদা-তারেক। এবার জঙ্গীরা আরেকটি গোপন পথে অগ্রসর হচ্ছে। ইতোমধ্যে তা উদঘাটনও হয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও প্রখ্যাত অণুবিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ আলী মিয়া দম্পতির পুত্র তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা। এরই মধ্যে আমেরিকায় এর বিচার হয়েছে এবং নিউইয়র্ক প্রবাসী এক বিএনপি নেতার পুত্র ও এফবিআই’র এক সাবেক কর্মকর্তার সাজা হয়েছে। ঐ মামলায় দেশাভ্যন্তরেও কিছু নাম এসেছে এবং তাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শফিক রেহমানকে আটক করে দুইবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে আরেকজনের নামও সংবাদপত্রের পাতায় এসেছে, তিনি কারাবন্দী আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বস্তুত ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বিরোধিতা করেছে, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে মুক্তিযুদ্ধে যায়নি, যারা রাজাকার-আলবদর-আল শামস বানিয়ে বাঙালীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে বা নৈতিক সমর্থন দিয়েছে, তারা গুপ্তহত্যা, অপহরণ কেন, যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে। করছেও। তথাকথিত সুশীল সমাজের একটি অংশও তাদের সঙ্গে রয়েছে। তারা বিভিন্ন এনজিও’র কর্তা-কর্ত্রী সেজে জাতিকে এখন গণতন্ত্রের সবক দেয়। বিএনপির মিথ্যার ঢোল মীর্জা ফখরুল ইসলামের মতো বলে, সরকার নাকি ‘কম গণতন্ত্র বেশি উন্নয়নের’ পথে রয়েছে। আমি বলি তবুও তো স্বীকার করছে উন্নয়ন হচ্ছে দেশে। এটা না বললে যে দৌড় সালাহউদ্দিনের মতো গণধাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আমি মনে করি দেশের আজকের পরিস্থিতিতে যেটি সবচে’ বেশি প্রয়োজন তা হলো গণসচেতনতা এবং গণজাগরণ। বন্ধু সাংবাদিক-কলামিস্ট স্বদেশ রায় বলেছেন- ‘এখন সময় প্রতিটি ইঞ্চিতে রুখে দাঁড়ানো।’ তিনি পরামর্শ দিয়েছেন- “এখন এগিয়ে আসা দরকার প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর। তারা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মতো যেমন গণজাগরণে যোগ দিয়ে দেশব্যাপী গণসচেতনতা ও জাগরণ সৃষ্টি করেছিল, শক্তিশালী করেছিল মানুষকে, এ মুহূর্তে তাদেরও আবার একত্রিত হতে হবে। আবার দেশজুড়ে এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবিরোধী কমিটি গড়ে তুলে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ মুহূর্তে সাধারণ মানুষ, ছাত্র, শিক্ষক, রাজনীতিক সবার জন্য প্রয়োজন কিন্তু রুখে দাঁড়ানো। আর একা রুখে দাঁড়ানো যায় না। তাই প্রতিটি ইঞ্চিতে কমিটি করে সংগঠিত হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।” এমনি একটি সুযোগ শেখ হাসিনা এবার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সামনে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকের মাধ্যমে নির্বাচন হলে গ্রামীণ রাজনীতিতে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত হবে এবং দেশের অগ্রগতির প্রতিপক্ষ জঙ্গী দমন হবে। দুর্ভাগ্যের বিষয় জেলা ও থানা পর্যায়ে কিছু নেতা তা রীতিমত মাটি করে দিয়েছে। প্রথমত, তারা তাদের অনুগত লোকদের নমিনেশন দিয়েছে; দ্বিতীয়ত, চরম নমিনেশন বাণিজ্য করেছে এবং বাণিজ্যে বহিরাগত জামায়াত-শিবিরকে নৌকা প্রতীক নিয়ে দিয়েছে। যেখানে নমিনেশন নিয়ে দিতে পারেনি সেখানেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাদের লোকদের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। অনেককে পাসও করিয়ে এনেছে। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই জেনুইন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে জেনুইন নেতাকর্মীরা কাজ করেছে। হেরে যাবার পর মনোনয়ন বাণিজ্য যারা করেছে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর কোপানলে পড়ে অনেকে এখন আতঙ্কের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। ওদের হাতে মার খেয়েছে এমন উদাহরণও ভূরি ভূরি। জেনুইন নেতাকর্মীদের মারধর, বাড়ি বাড়ি হামলা, বাজারে ব্যবসা চালাতে হলে চাঁদা দিতে হচ্ছে। যারা টাকা দিতে পারে না তাদের দোকান বন্ধ রয়েছে- ঠিক ২০০১ এর ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী হামলা-মামলার নির্যাতনের যে চিত্র মানুষ দেখেছে, যে নির্যাতন সহ্য করেছে, আজও যেন সে অবস্থা। ঢাকা : ২৯ এপ্রিল ২০১৬
×