ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পনীতির বাস্তবায়ন চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৫ মার্চ ২০১৬

শিল্পনীতির বাস্তবায়ন চান ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবারের শিল্পনীতিকে শিল্পবান্ধব উল্লেখ করে, সময়মতো এর বাস্তবায়ন চান রফতানিমুখী শিল্প ব্যবসায়ীরা। আর যুগোপযোগী ব্যবসা করতে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আরও বড় আকারে ঋণ সুবিধা রাখা উচিত বলে মনে করেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। এদিকে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে শিল্পনীতির পাশাপাশি শিল্প আইন জরুরী বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বিনিয়োগে প্রণোদনা, সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বে শিল্প প্রতিষ্ঠা, বিদেশী বিনিয়োগবান্ধব শিল্প ব্যবস্থাপনাসহ ৪৩টি কর্মপরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করে গত সোমবার অনুমোদন দেয়া হয় জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬। যেখানে ২০২১ সাল নাগাদ জিডিপিতে শিল্প খাতের বর্তমান অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে নতুন এই শিল্পনীতিতে জামানতবিহীন ও সিঙ্গেল ডিজিট সুদহারে ঋণ সুবিধাসহ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে ১৩টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, ঋণ সুবিধা পেতে বাড়াতে হবে সরকারী নজরদারি। আই অ্যাম এসএমই অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সাফিয়া শামা বলেন, ২৫ লাখ টাকা দিয়ে তো আমরা একটি এলসিও খুলতে পারি না। সেখানে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসাকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যাবে। এই যে জামানতবিহীন ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, এই জায়গায় যদি নীতিটাকে পরিবর্তন করা হয়, তাহলে আসলেই যারা উদ্যোক্তা রয়েছে তাদের জন্য একটা ক্ষেত্র তৈরি হবে। অন্যথায় এটাকে এগিয়ে নেয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। এছাড়া উচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে তৈরি পোশাক, আইসিটি, ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণসহ ২৪টি শিল্পকে। তবে এর সুফল পেতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান ব্যবসায়ীদের। বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার যে শিল্পনীতি করেছে সেটা অবশ্যই শিল্পবান্ধব। যা যা নীতিতে আছে সেটার বাস্তবায়ন যদি ঠিকমতো হয় তাহলে আমরা সামনের দিকে দিন দিন এগিয়ে যেতে পারব। কিন্তু অনেক সময় বাস্তবায়নের জায়গায় গিয়ে দেখা যায় যেগুলো নীতিতে থাকে সেই আলোকে সবসময় আমরা সহযোগিতা পাই না। অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্প পার্ক, ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে এবারের শিল্পনীতিতে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঘোষিত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে দরকার শিল্প আইন। সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকারের উচিত হবে নীতির ডকুমেন্টকে আইনী ডকুমেন্টে উন্নীত করার চেষ্টা করা। যাতে করে যেসব কমিটমেন্টগুলো এই ডকুমেন্টে দেয়া আছে সেগুলো যাতে উদ্যোক্তারা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিত হন। সেটা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে অনেক বেশি আশ্বস্ত করবে। নতুন এই শিল্পনীতিতে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করার বিষয়।
×