ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঐশীসহ আসামি তিন

পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলার রায় ১২ নবেম্বর

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৫ নভেম্বর ২০১৫

পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলার রায় ১২ নবেম্বর

কোর্ট রিপোর্টার ॥ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমান এবং তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে দায়ের মামলার রায় আগামী ১২ নবেম্বর দেয়া হবে । মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার তারিখ ধার্য করেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ। ঐশীসহ তিনজন এ মামলার আসামি। মঙ্গলবার ঐশী ও তার বন্ধু আসাদুজ্জামান জনিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা অপর আসামি মিজানুর রহমান রনি আদালতে হাজির ছিলেন। প্রধান আসামি ঐশী রহমানের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আহমেদ এবং অন্য দু’জনের পক্ষে মাহবুবুর রহমান রানা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান। এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ঐশীর চাচা মোঃ মশিহুর রহমান রুবেলসহ ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর মামলাটির প্রধান আসামি ঐশীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেন আদালত। আত্মপক্ষ সমর্থনকালে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তার বক্তব্য লিখিতভাবে আদালতে দাখিল করেন ঐশী। অন্য দুই আসামি জনি ও রনিও নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। বয়সের সমর্থনে একটি সনদপত্র আদালতে দাখিল করে ঐশী বলেন, ঘটনার সময় তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। পুলিশ নির্যাতন করে তার স্বীকারোক্তি আদায় করে বলেও তিনি দাবি করেন। ঐশী আরও বলেন, তার বাবা-মা যখন খুন হন তখন তিনি বাসায় ছিলেন না। বন্ধুর বাসায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। তার বাবা-মাকে কে বা কারা খুন করেন তাও তিনি জানেন না। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ তাদের মালিবাগের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে গ্রেফতার করা হয় অন্য দুই আসামি রনি ও জনিকে। তাদের মধ্যে গত ৩১ মার্চ আসামি রনির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
×