ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আপা, আড়ংয়ে যাইবেন না? গেলে আমার মাইয়ার জন্য একটা জামা আইনা দিয়েন। ওর আবার আমার ব্লকের ডিজাইন পছন্দ না। মাথা খাইয়া ফেলাইতেছে মাইয়াডা। কারখানার থন তো বাইর অইতেই পারি না। কখন যামু কন। ওর আবার বয়স ছয় অইলে কি অইব, আপনাগো মতোন চয়েস...

ঈদ মোবারক॥ নানারকম ঈদ-খুশি

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ১৭ জুলাই ২০১৫

ঈদ মোবারক॥ নানারকম ঈদ-খুশি

এক. রাতদিন সিরিয়াল দেখিস হা করে। কাজ করতে হবে না? নে তোর প্রিয় কিরনমালা হারটা নে। বৌমা এনেছে শখ করে। ঈদে মন দিয়ে কাজ করবি। খুশিতে ডগমগ মনিরা তার প্রিয় সিরিয়াল কিরনমালার মালাটা পেয়ে। দুই. মা, পাকিস্তানি থ্রিপিস একদম পছন্দ না। কিন্তু কি করব, চাচী দিয়েছেন শখ করে। দরজিকে দিও কিন্তু সেলাই করতে। তিন. বাবা, আমার পাঞ্জাবি-শার্টপ্যান্ট কিছুই লাগবে না। এবার ঈদে একটা মোবাইল সেট কিনে দিও। আমি নেট থেকে মডেলটা বের করছি। চার. আপা, আড়ংয়ে যাইবেন না? গেলে আমার মাইয়ার জন্য একটা জামা আইনা দিয়েন। ওর আবার আমার ব্লকের ডিজাইন পছন্দ না। মাথা খাইয়া ফেলাইতেছে মাইয়াডা। কারখানার থন তো বাইর অইতেই পারি না। কখন যামু কন। ওর আবার বয়স ছয় অইলে কি অইব, আপনাগো মতোন চয়েস। পাঁচ. বুয়া: আপনাকে টাকা দিয়ে দেব, শাড়িটা কিনে নিবেন। অফিস করে আর সময় পাই না। ভাবি: আপনের পছন্দের শাড়ি পরতে চাইছিলাম। ছুডা বুয়া বইলা পেটিকোট ব্লাউজ বাদ দিয়েন না জানি। ছয়. আমরা তোমার বাবার দূর সম্পর্কের ভাইস্তা। আমরা দুইজন স্বামী-স্ত্রী বড় বেকায়দায় পড়ে গেছি। কারও কাছে যাকাত চাইতে পারি না। ছেলেমেয়েরা বড় চাকরি করে। ওরা শুনলে মাইন্ড করবে। তোমার কাছে আসলাম। কারণ তোমার বাবা প্রতি ঈদে আমাদের দিতেন। চাইতে হয় নাই কোনদিন। সাত. আমার ছোটবেলায় একবার ঈদের দিন বৃষ্টি হয়েছিল। তখন আমাদের গাড়ি ছিল না। বেড়াতে নিয়ে যেতে পারেনি বলে বাবার ওপর খুব রাগ করেছিলাম। এবার ঈদ পড়েছে শ্রাবণ মাসে। মনে হয় ঈদের দিন বৃষ্টি হবে। অথচ বাবা নেই। খারাপ লাগছে। তবে আমার ছেলে বলেছে বড় হয়ে বেতনের টাকা জমিয়ে ঈদের দিন আমাকে গাড়ি উপহার দেবে। এই খুশিতে আমার চোখে পানি চলে আসছে। সুলতানা শাহরিয়া পিউ ধানমন্ডি থেকে
×