ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৩১ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বেশকিছু দিন থেকে নগরীতে ট্যাক্সিক্যাব সঙ্কটের কারণে যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পূর্বে হলুদ, স্কাইব্লু ও কালো রঙের প্রচুর ট্যাক্সিক্যাব দেখা যেত। ইদানীং কিছু নতুন হলুদ রঙের ট্যাক্সিক্যাব রাজধানীতে চলছে। এর ভাড়া অত্যাধিক। সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ট্যাক্সিক্যাবে যাতায়াত করা দুরূহ। এ ব্যাপারে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতা সত্যিই দুঃখজনক। নগরীতে ট্যাক্সিক্যাবের জন্য সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্ট ও দুর্ভোগ অবর্ণনীয়। একটা দেশের উন্নতি যোগযোগ ব্যবস্থার সফলতার ওপর নির্ভর করে থাকে। আর আমাদের দেশে রাস্তা নেই। প্রাইভেটকারের দৌরাত্ম্যে রাস্তাঘাটে যানজটের অবস্থা বেহাল ও শোচনীয়। ট্যাক্সিক্যাবের ভাড়া অস্বাভাকিভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতা শহরে যে হারে ট্যাক্সিক্যাবের চলাচল রয়েছে তাতে কলকাতাবাসী খুশি। অথচ আমাদের দেশের খোদ রাজধানীতে পথেঘাটে ট্যাক্সিক্যাবের প্রকোট সত্যিই বেদানাদায়ক। তাই দ্রুত নগরীতে ট্যাক্সিক্যাব বাড়ানো উচিত। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী গে-ারিয়া, ঢাকা। শিক্ষার মান সাম্যবাদী দার্শনিক রুশো (১৭১২-৭৮) সাম্যবাদী সমাজের প্রত্যাশায় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছেন। আর বিশ শতকের শুরুতে দেশে দেশে শিক্ষা মানুষের মৌলিক ও জন্মগত অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং নিরক্ষরতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার প্রভৃতির বিরুদ্ধে আন্দোলন বিস্তৃত হতে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রভৃতি কারণে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারেনি। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ঔপনিবেশিক ধাঁচে গড়া। বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে তারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির অনুকূল করে শিক্ষাব্যবস্থার বিন্যাস করেছিল। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে এ পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাকমিশন গঠন করা হলেও কোন কমিশনই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত কোন সংস্কার হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ ৪৪ বছরে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষার গুণগত মানের ব্যাপকহারে অবনতি ঘটেছে। অপরিকল্পিত, কর্মবিমুখ শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত থাকার ফলে শিক্ষার প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। ফলে সহজেই কত কম পড়াশুনা করে পরীক্ষায় পাশ করা যায় সেদিকেই শিক্ষার্থীদের আগ্রহ। সেজন্য মুখস্থ বিদ্যা ও প্রচলিত নোট গাইডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এ প্রবণতার সুযোগে কোচিং সেন্টারগুলো রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্কটের আবর্তে পতিত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার হালচাল মোটেই সন্তোষজনক নয়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে অচিরেই শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। তাই যে সব কারণে শিক্ষার গুণগত মানের অবনতি ঘটেছে, সেগুলো চিহিৃত করে তার যথাযথ সমাধান করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে সংস্কার করে যুগোপযোগী করে তুলতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান হলে সার্বিকভাবে শিক্ষার মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নৈতিক গুণাবলী অর্জন ও দেশের উন্নয়নও সম্ভব হবে। মুহাম্মদ আলাউদ্দিন [email protected]
×