ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করতে হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করতে হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সৃজনশীল প্রতিভার যথাযথ বিকাশে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘শিল্পকলা পদক ২০১৪’ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, সারাদেশে অনেক প্রতিভা রয়েছে এবং তাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে, মূল্যায়নের অভাবে তারা যেন অপসংস্কৃতি বা সন্ত্রাসের দিকে এগিয়ে গিয়ে যেন চিরতরে হারিয়ে না যায়, সে লক্ষ্যে নতুন প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করতে হবে। খবর বাসসর। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, চারুকলা, নাটক, আবৃত্তি, নাচ এবং ফটোগ্রাফি এই সাত বিভাগের কৃতী শিল্পীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। কণ্ঠসঙ্গীতের জন্য অমরেশ রায় চৌধুরী, যন্ত্রসঙ্গীতে (তবলা) মদন গোপাল দাস, চারুকলার জন্য সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, নাটকে লাকি এনাম, আবৃত্তির জন্য আশরাফুল আলম, নৃত্যে বজলুর রহমান বাদল এবং প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম ফটোগ্রাফির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য সম্মান জানাতে ‘শিল্পকলা পদক’ প্রবর্তন করে। ‘শিল্পকলা পদক’ গ্রহণকারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, এই পুরস্কারে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁরা নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে আরও অবদান রাখবেন। তিনি বলেন, আমাদের গান, নাচ, নাটক, যাত্রাপালা এবং চারুকলার নিজস্ব ঐতিহ্যে সমুজ্জ্বল। বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও চারুকলার ঐতিহ্যে, বিশ্বব্যাপী যা এখন সমাদৃত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজে অনেক প্রতিভাবান লোক আছে যারা কোন পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাচ্ছে। আবদুল হামিদ, বাঙালীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর সম্প্রসারণে ভূমিকা পালনের জন্য শিল্পকলা একাডেমির প্রশংসা করেন। তিনি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া মহিমান্বিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারে ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সচিব ড. রঞ্জিত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
×