
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ফ্যাসিবাদ , দুর্নীতি ও চাদাবাজদের ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে না এবং কাউকে চাদাবাজি করতে সুযোগ দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস শূরার সদস্য ও জেলা আমীর ব্রাহামণবাড়িয়া-২(সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মোবারক হোসাঈন।
গত বছরের ৫আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় গনমিছিল কর্মর্সচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাবেব এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
গণমিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর ও বিজয়নগর) আসনের মনোনীত প্রার্থী জুনাইদ হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫(নবীনগর) আসনের মনোনীত প্রার্থী এড. আব্দুল বাতেন প্রমুখ।
বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে আয়োজিত সমাবেশে অতিথিবৃন্দ বলেন, জুলাই বিপ্লব ছিল ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনতার রক্তাক্ত জবাব, যা আজও বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অমলিন চেতনা হয়ে আছে। গত বছরের এই দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদী শাসকের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলাম। ভবিষ্যতেও যদি আমরা শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে আর কোনো ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটিতে টিকে থাকতে পারবে না।
আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক এড. মনির হোসেন, আইন সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আইসিটি ও শিক্ষা সম্পাদক রাজিফুল হাসান বাপ্পী,প্রচার সম্পাদক রোকন উদ্দিন, জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান মাহমুদ, সেক্রেটারি জুলফিকার হায়দার রাফি সহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও বিএনপি, হেফাজত ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পৃথকভাবে গণমিছিল ও শোকরানা পদযাত্রার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছে।
রাজু