ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

ঈদের উৎসবের মতো হবে নির্বাচন: ফেব্রুয়ারিতে ভোট আয়োজনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ৫ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ২১:৩৯, ৫ আগস্ট ২০২৫

ঈদের উৎসবের মতো হবে নির্বাচন: ফেব্রুয়ারিতে ভোট আয়োজনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং রমজানের আগেই ভোট সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হবে—এমনটি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার রাতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।

ড. ইউনূস বলেন, “আমরা এবার একটা নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব। সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাবো যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।”

ভাষণে তিনি জানান, এবারের নির্বাচনকে তিনি আনন্দ উৎসব, সৌহার্য, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় করে তুলতে চান। “এবারের ভোট যেন হয় ঈদের উৎসবের মতো,” বললেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এবারের নির্বাচনে আমরা আমাদের বকেয়া আনন্দসহ মহাআনন্দে ভোট দিতে চাই।”

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, এবার নির্বাচন ঘিরে নতুন ভোটার, প্রবাসী ভোটার, এমনকি দীর্ঘদিন ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত নাগরিকরাও অংশ নেবেন। “এবার এমন ভোটার থাকবে যারা ১৫ বছর, ১০ বছর বা ৫ বছর আগে ভোট দিতে পারতেন, কিন্তু পারেননি। আবার এমনও থাকবেন যারা এবারই প্রথম ভোটার হয়েছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।”

নারী ভোটারদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার সব ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। “নারী ভোটাররা যেন সর্বোচ্চ নির্দ্বিধায়, আনন্দ-উৎসাহসহ ভোট দিতে পারে, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।”

প্রবাসী ভোটারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক দিক থেকে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ঐতিহাসিক অবদানে। তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

ড. ইউনূস ভোটারদের আহ্বান জানান—এখন থেকেই তাদের এলাকায় ভোটদান প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করতে, যাতে সেই প্রক্রিয়া হয় সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর।

ভাষণের শেষে তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজের ভিত্তি রচনা হবে এবারের নির্বাচনে। আপনারা সবাই বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন—নাগরিক অধিকার প্রয়োগের মহত্ত্ব পরবর্তী বংশধরদের কাছে তুলে ধরার জন্য।”

 

শেখ ফরিদ 

×