
চাঁদপুরের বড় স্টেশন মাছঘাটে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশের বাজার। চলতি জুলাই মাসের শেষদিকে এসে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে, আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশের দাম কমেছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
বর্তমানে এক কেজির নিচের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১,৭০০ থেকে ১,৮০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,২০০ থেকে ২,৩০০ টাকায়, আর এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,৬০০ থেকে ২,৭০০ টাকায়। অথচ মাসের শুরুতে এসব ইলিশের দাম ছিল ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে ক্রেতারা বলছেন, এখনো তাদের সাধ্যের মধ্যে পুরোপুরি ইলিশ কেনা সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে কিছুটা দাম কমলেও তা আরও কমলে তবেই তারা স্বস্তি পাবেন বলে মত দেন অনেকেই।
ইলিশের সরবরাহ কমে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে নদীপথে সৃষ্ট ২৫টিরও বেশি ডুবোচর। বিশেষ করে সোনাচর ও ডালাচরের মতো চরগুলোর কারণে সাগর থেকে ইলিশ নদীতে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। চাঁদপুর, ভোলা ও পটুয়াখালীসহ আশেপাশের নদীপথে ইলিশের আগমন কমে যাওয়ায় বছরের পর বছর ধরে ইলিশের পরিমাণে ধস দেখা যাচ্ছে।
জেলেরা জানাচ্ছেন, নৌকা, জাল, তেলসহ অন্যান্য খরচ বহন করেও তারা প্রত্যাশিত পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছেন না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টিপাত ও নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে সাগর থেকে নদীতে ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, যা দাম কমানোর পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
মৎস্য বিভাগও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা জানিয়েছে, চরগুলোর প্রভাব দূর না করা হলে আগামী দিনে ইলিশের সংকট আরও তীব্র হতে পারে।
Jahan