জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের সঙ্গে নির্বাচন ঘোষণাও চায় জনগণ উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, “রোজার আগেই নির্বাচন, এটাই জনগণের দাবি। এই নির্বাচন ঘিরে মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।”
সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের বাদশা বাজারে কাউয়ালীজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত বছরের চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে গাজীপুরের মাওনা ওয়াপদা মোড়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু কাউসার বিজয় ফরাজী। তার প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণসভা আয়োজন করা হয়।
প্রিন্স বলেন, “নির্বাচিত সরকার ও সংসদের মাধ্যমেই জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। বিএনপি সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু একটি মহল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতা তৈরি করছে, যার উদ্দেশ্য একটাই, নির্বাচন বিলম্বিত করা।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিএনপি শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায়, তবে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিটি অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর।”
এ সময় তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের একক দাবিদার হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বারওয়ারি ব্যবসা করেছে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান একটি নতুন বাংলাদেশ উপহার দেবেন, যেখানে গণতন্ত্র, সুশাসন, জানমালের নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক সম্প্রীতি বজায় থাকবে। জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী দিনে বিএনপি সরকার গঠিত হলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিমের গুম-খুনের শিকার সকল শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, পরিবারের পুনর্বাসন এবং শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে স্থাপনার নামকরণ করবে। সেইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটপাট এবং অধিকার হরণের অপরাধে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
শহীদ পরিবারের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি শহীদদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এবং তাদের স্মৃতি জাতির সামনে তুলে ধরবে।”
হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে ও উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ বিজয়ের পিতা সাইদুল ইসলাম ফরাজী, হালুয়াঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর আলম বিপ্লব, বিএনপি নেতা অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন, উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নিলু, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গনি, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাঈমুর আরেফিন পাপন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূরে আলম জনি, উপজেলা বিএনপি নেতা সৈয়দুজ্জামান, হারুন অর রশীদ, হাবিবুর রহমান, আব্দুর রশীদ, জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত মেহেদী হাসান এবং সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মাসুদ রানা।
মিমিয়া
