
হার্টের রোগীদের জন্য এক বড় সুখবর! সরকার এখন থেকে বিদেশি তিন কোম্পানির ১১ ধরনের স্টেন্ট বা হার্ট রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, যার ফলে একেকটি স্টেন্টের দাম ৩,০০০ থেকে ৮৮,০০০ টাকার মধ্যে হবে। রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৫০ হাজার রিংয়ের চাহিদা রয়েছে। আগে এসব স্টেন্টের দাম ছিল অনিয়ন্ত্রিত, আর এ নিয়ে ছিল ব্যাপক অভিযোগ। একটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির রিং ভারতে যেখানে ৫২ হাজার টাকা, বাংলাদেশে সেটিই বিক্রি হতো ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এবার ভারতীয় বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দাম নির্ধারণ করায় রোগীরা তুলনামূলক কম দামে চিকিৎসা সেবা পাবে।
সিন্ডিকেট ভেঙে পদক্ষেপ
এতোদিন দেশের বাজারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কিছু অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, অভিযোগ এমনই। এখন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় শুধু মূল্য নিয়ন্ত্রণই নয়, চিকিৎসক বা হাসপাতাল সার্ভিস চার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নির্দেশনার ফলে স্টেন্ট আমদানিকারকদের গুদামে থাকা পণ্যের ওপরও দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।
রোগীদের জন্য বড় স্বস্তি
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্টের রিংয়ের দাম কমলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত রোগীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন। বর্তমানে একাধিক রোগী হার্ট ব্লক ধরা পড়লেও ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণে রিং বসাতে পারেন না।
বাড়তি নজরদারি
সাথে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, কার্ডিয়াক স্টেন্ট ছাড়াও নিউরো ও কার্ডিওভাসকুলার ইমপ্লান্ট ডিভাইস যেন আলাদাভাবে অতিরিক্ত দামে বিক্রি না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর তদারকি চালানো হবে।
এই পদক্ষেপ স্বাস্থ্যসেবায় আরও স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Jahan