
ছবিঃ সংগৃহীত
সুস্থভাবে দীর্ঘ জীবন পেতে কে না চায়? তবে দীর্ঘায়ুর মূল চাবিকাঠি কিন্তু শুধু বয়সের ওপর নির্ভর করে না। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে আমাদের খাদ্যাভ্যাস। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কিছু পুষ্টিকর খাবার ডায়েটে রাখলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমে এবং শরীরের কোষগুলো সুস্থ থাকে দীর্ঘদিন।
চলুন জেনে নিই, বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণিত কিছু খাবার যা নিয়মিত খেলে দীর্ঘায়ু পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে—
🥦 ১. সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি
পালং শাক, কলমি, লাল শাক, ব্রকোলি—এসব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এগুলো শরীরের কোষগুলিকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. বেরি জাতীয় ফল
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, জাম—এইসব বেরি জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে খেলেও এটি মস্তিষ্ককে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।
🐟 ৩. সামুদ্রিক মাছ
ইলিশ, সালমন, ম্যাকেরেল, টুনা জাতীয় মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
🌰 ৪. বাদাম ও বীজ
আমন্ড, আখরোট, চিয়া ও ফ্ল্যাক্স সিডে থাকে প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং বয়সজনিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
🍚 ৫. গোটা শস্য (Whole grains)
লাল চাল, ওটস, বার্লি—এই জাতীয় খাবারে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফাইবার, যা হজমে সহায়তা করে এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
🍵 ৬. গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে রয়েছে ক্যাটেচিন নামক উপাদান যা কোষের বার্ধক্য ধীর করে এবং বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে।
🧄 ৭. রসুন
রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদান রক্তচাপ কমায়, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে।
🔬 গবেষণার আলোকে:
জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, যারা নিয়মিত ফলমূল, শাকসবজি এবং বাদামজাতীয় খাবার খায়, তাদের গড় আয়ু সাধারণ মানুষের তুলনায় ১০–১২ বছর বেশি হতে পারে।
🗣️ বিশেষজ্ঞ মতামত:
পুষ্টিবিদ তানজিনা রহমান বলেন, “দীর্ঘ জীবন চাইলে প্রথমে বদল আনতে হবে থালায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক উৎস থেকে আসা পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেলে শরীর অনেকটাই রোগমুক্ত থাকে।”
আলীম