ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

ক্যানসারের জন্য দায়ী যে ৬টি খাবার

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ৪ আগস্ট ২০২৫

ক্যানসারের জন্য দায়ী যে ৬টি খাবার

ক্যানসার এখন একটি ভয়াবহ রোগে রূপ নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই রোগের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দিচ্ছে। অনেক সাধারণ খাবারই অজান্তে শরীরে ক্যানসার তৈরির পরিবেশ তৈরি করে। সচেতন না হলে দৈনন্দিন খাবার থেকেই ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ।

এখানে এমন ছয়টি খাবারের কথা তুলে ধরা হলো, যা নিয়মিত খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক গুণ বেড়ে যায়:

১. প্রসেসড মাংস (যেমন সসেজ, স্যালামি, হটডগ)
এই ধরনের মাংস প্রক্রিয়াজাত করতে নাইট্রেট ও নাইট্রাইট জাতীয় রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদান পাকস্থলিতে গিয়ে এমন এক যৌবে রূপ নেয় যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

২. ভাজা খাবার (যেমন ফাস্ট ফুড, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই)
উচ্চ তাপে তেলে ভাজার সময় খাবারে অ্যক্রিলামাইড নামের এক ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়, যা শরীরের কোষে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩. মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন (বিশেষ করে প্যাকেটজাত)
এই ধরনের পপকর্নের প্যাকেটের অভ্যন্তরীণ আবরণে থাকে পারফ্লুরোঅকটানোইক অ্যাসিড (PFOA), যা শরীরে জমে ক্যানসারের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। এছাড়া, কিছু ফ্লেভারিং উপাদানও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

৪. অতিরিক্ত চিনি ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট
চিনি, সাদা ময়দা বা এ জাতীয় খাবার শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে, যা কোষ বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেয়। এতে টিউমার গঠনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে।

৫. অতিরিক্ত অ্যালকোহল
অ্যালকোহল শরীরে অ্যাসিট্যালডিহাইডে পরিণত হয়, যা একটি ক্ষতিকর উপাদান এবং ক্যানসারের কারণ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল সেবন করলে মুখ, খাদ্যনালী, লিভার ও স্তন ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

৬. ক্যানজাত খাবার (ক্যানড ফুড)
ক্যানজাত খাবারের প্যাকেটের আবরণে থাকা বিসফেনল-এ (BPA) নামক রাসায়নিক হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ক্যানসার, বন্ধ্যত্ব ও প্রজনন সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে স্তন ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে বেশি।

সুস্থ থাকতে হলে খাদ্যাভ্যাসে সচেতন হওয়া জরুরি। প্রাকৃতিক, তাজা এবং ঘরে তৈরি খাবারকে প্রাধান্য দিন। প্রক্রিয়াজাত ও রাসায়নিকযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

সজিব

×