
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমানে হৃদরোগে মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো Chronic Heart Failure (CHF)—একটি নীরব ঘাতক, যা ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং ঘুমের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু ডেকে আনে।
কী এই Chronic Heart Failure?
Chronic Heart Failure হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃদপিণ্ড শরীরের চাহিদা অনুযায়ী রক্ত পাম্প করতে পারে না। প্রথম দিকে এর লক্ষণ খুব একটা বোঝা যায় না। অনেকেই তাই গুরুত্ব না দিয়ে উপেক্ষা করেন, আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিপদ।
লক্ষণগুলো কী কী?
-
নিরবচ্ছিন্ন ক্লান্তি
-
পা, গোড়ালি ও পায়ের আঙুলে ফোলা
-
রাতে বারবার প্রস্রাব
-
বুকে চাপ বা শ্বাসকষ্ট
-
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
এই উপসর্গ দেখা গেলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
পুরুষদের বেশি ঝুঁকি—মিথ না সত্য?
একটি জনপ্রিয় মত অনুযায়ী, পুরুষদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এবিপি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নয়াদিল্লির একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক জানিয়েছেন—৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষদের ঝুঁকি সত্যিই বেশি (অনুপাত ৭:৩)। তবে ৫০ বছর পার হলে নারী-পুরুষ উভয়ের ঝুঁকি সমান হয়ে যায়।
চারটি পর্যায়ের কথা জেনে নিন
CHF রোগটি মূলত চারটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়:
টাইপ ১: ওষুধে নিয়ন্ত্রণযোগ্য
টাইপ ২ ও ৩: ওষুধের পাশাপাশি প্রয়োজন অস্ত্রোপচার
টাইপ ৪: হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনই একমাত্র উপায়
চিকিৎসকরা বলেন, হৃদপিণ্ড যদি ৫০% পর্যন্ত কাজ করতে থাকে, চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। কিন্তু ৬৫% এর বেশি ক্ষতি হলে জীবন ঝুঁকিতে পড়ে।
প্রতিরোধের উপায় ও করণীয়
-
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
-
দিনে ২ লিটারের বেশি পানি পান থেকে বিরত থাকুন
-
লবণ খাওয়া কমান
-
ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন
-
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
তথ্যসূত্র: এবিপি নিউজ
ইমরান