
হামাস জানিয়েছে, গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের জন্য আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের অনুরোধে তারা ইতিবাচক সাড়া দিতে প্রস্তুত। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আইসিআরসির প্রতি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান।
শনিবার গাজায় মাত্র ৩৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে, যা দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনির জন্য চরমভাবে অপ্রতুল। এর মধ্যেই ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো গত সপ্তাহে গাজায় আটক দুই ইসরায়েলির ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে তাদের দুর্বল ও কৃশকায় অবস্থা দেখা যায়। এ ভিডিও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
রবিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) হিব্রু ভাষায় পোস্ট করা এক বার্তায় নেতানিয়াহু জানান, তিনি ইসরায়েলে আইসিআরসির প্রধান জুলিয়ান লারসনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং গাজায় আটক বন্দিদের জন্য জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে সংগঠনটির তাৎক্ষণিক ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেছেন।
নেতানিয়াহু বলেন, “হামাস গাজায় ক্ষুধার্ত হওয়ার মিথ্যা প্রচার করছে। বাস্তবতা হলো, আমাদের বন্দিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অনাহার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
এর কিছুক্ষণ পর হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা এক বিবৃতিতে জানান, গাজায় আটক ইসরায়েলিরা “আমাদের যোদ্ধা ও জনগণের সঙ্গে সমানভাবে খাদ্য গ্রহণ করছে।”
তিনি বলেন, “এই অবরোধ ও অনাহারের মাঝে বন্দিদের জন্য কোনো বিশেষ সুবিধা থাকবে না। তবে রেড ক্রস যদি খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের জন্য কোনো অনুরোধ জানায়, আমরা তা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত।”
তবে আবু উবাইদা আরও বলেন, বন্দিদের সহায়তা পৌঁছাতে হলে গাজার সকল এলাকায় “স্বাভাবিক ও স্থায়ীভাবে মানবিক করিডোর খোলা থাকতে হবে,” যেন সাধারণ মানুষও খাদ্য ও ওষুধ পেতে পারে।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে গাজার মানবিক সংকট, বন্দিদের দুর্দশা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।
Jahan