
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির আল-আকসা মসজিদ কমপাউন্ডে প্রকাশ্যে ইহুদি প্রার্থনা করে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছেন। পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র এই স্থানে তার এই পদক্ষেপকে "বিপজ্জনক উসকানি" হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, জর্ডান এবং সৌদি আরব।
রবিবার (৩ আগস্ট) বেন গভির আল-আকসা প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি গাজার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর হাতে আটক দুই ইসরায়েলির দুরবস্থার ভিডিও সামনে আসার পর “গাজা উপত্যকার ওপর পুরোপুরি ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব” আরোপ করা উচিত যেভাবে টেম্পল মাউন্টে (আল-আকসা প্রাঙ্গণ) করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিয়ম ও ঐতিহাসিক সমঝোতা লঙ্ঘন
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে শুধুমাত্র মুসলিমদের প্রার্থনার অনুমতি রয়েছে এই ঐতিহাসিক ‘স্ট্যাটাস কু’ বহু দশক ধরে চলে আসছে। বেন গভিরের প্রকাশ্য প্রার্থনা সেই সমঝোতার লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে, যা পুরো অঞ্চলকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল ও পরবর্তীতে সংযুক্ত করলেও, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ আজও ওই এলাকাকে অধিকৃত অঞ্চল হিসেবে গণ্য করে।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এটি একটি বিপজ্জনক মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা ধর্মীয় সহিংসতা উসকে দিতে পারে।” জর্ডান ও সৌদি আরবও আল-আকসার ধর্মীয় মর্যাদা ও মুসলিমদের অনুভূতির প্রতি অবজ্ঞার কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
ইসরায়েলের বামপন্থী দৈনিক হা'আরেতজ বেন গভিরের এই কাজকে সরাসরি “প্রকাশ্য উসকানি” বলে উল্লেখ করেছে।
এই ঘটনার ফলে আল-আকসা মসজিদ কেন্দ্রিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উত্তাপ আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার নতুন তরঙ্গ ঠেকাতে এখন জরুরি হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ।
Jahan