
ছবি: জনকণ্ঠ
ঢাকার দোহারের জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার ছাত্র ছোয়াদ হোসেন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে শাসন করায় ইংরেজি শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
সোমবার (৪ আগষ্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে।
ওই ছাত্র কয়েকদিন ধরে ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল। তাছাড়া ক্লাসে এসে পালিয়ে যাওয়ার কারন এবং নিয়মিত উপস্থিত থাকতে বলেন শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।
এসময় শিক্ষক আনোয়ার হোসেন খান সোয়াদকে স্কেল দিয়ে আঘাত করে শাসন করেন। একপর্যায়ে সোয়াদ শিক্ষককে অপমানজনক ভাষায় কথা বলে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক তাৎক্ষণিকভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। তাদের দাবি, শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে পাঠদান সম্ভব নয়।
অপরদিকে, শিক্ষকদের কর্মবিরতির খবরে অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় সোয়াদের বিচার দাবি করে প্রতিবাদ জানায়। অভিযুক্ত সোয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলে তার সহপাঠি ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। তারা ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাঁধন বলেন, ঘটনার সময় আমিও ক্লাসে ছিলাম। সোয়াদের আচরণ দেখে আমি সহ ক্লাসের সবাই অবাক হয়ে যাই। এটা অত্যান্ত অন্যায় করেছে সোয়াদ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়্যিদা ইয়াসমিন লীনা বলেন, “এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষাঙ্গনের শৃঙ্খলাভঙ্গের স্পষ্ট নিদর্শন। বিষয়টি আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহল ও অভিভাবকরাও ঘটনাটিকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন, “শিক্ষকের প্রতি এমন আচরণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকিস্বরূপ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা বাড়তেই থাকবে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোয়াদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দোহার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকি বলেন, একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীকে শাসন করতে পারে তাই বলে শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থী যা করেছে তাতে শিক্ষক হিসেবে আমরা এটা মেনে নিতে পারছিনা। আমরা এ ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবি করছি এবং প্রশাসনের প্রতি আমাদের একটা দাবি প্লিজ আপনারা এই শিক্ষার্থীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন।
এসময় তিনি এ ধরনের শিক্ষার্থী যেন এই প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা না করতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন।
এদিকে ঘটনার পর বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন দোহার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাসফিক সিবগাত উল্লাহ। তিনি বলেন, শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা শেষে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
আবির