
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে ব্যথানাশক কিংবা খাবারে অনিয়মের কারণে অনেকেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড শরীরে গেঁটেবাতসহ নানা ধরণের জটিলতা তৈরি করে। তবে প্রতিদিনের জীবনে কয়েকটি সহজ অভ্যাস মেনে চললেই এই সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধের পাশাপাশি জীবনধারায় সামান্য কিছু পরিবর্তনই যথেষ্ট। নিচে তুলে ধরা হলো এমনই ৫টি কার্যকর অভ্যাস, যা প্রতিদিনের রুটিনে রাখলে উপকার পাওয়া যায়
১. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে পর্যাপ্ত পানি পান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, এতে কিডনি ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করে সহজে বের করতে পারে।
২. লাল মাংস ও উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারে নিয়ন্ত্রণ আনুন
গরু-খাসির মাংস, কলিজা, হাঁস-মুরগির চামড়া ও সামুদ্রিক মাছে পুরিনের পরিমাণ বেশি, যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। এসব খাদ্যসামগ্রী কম খাওয়া উচিত।
৩. ফল ও সবজি বেশি করে খান
চেরি, আপেল, কমলা, লেবু, শসা, করলা, লাউ জাতীয় খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যালকালাইন উপাদান থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড হ্রাসে সাহায্য করে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন
বেশি ওজন ইউরিক অ্যাসিডের স্তর বাড়িয়ে দেয়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন ও সক্রিয় থাকুন। এটা কিডনির কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
৫. অ্যালকোহল ও চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন
বিয়ার ও সোডা জাতীয় পানীয়তে উচ্চমাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় এবং ব্যথা বা ফোলাভাব দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিজেকে সুস্থ রাখতে, জীবনধারায় আনুন ছোট পরিবর্তন বাঁচুন ইউরিক অ্যাসিডের ঝুঁকি থেকে।
আঁখি