ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

ভৈরব পাড়ে শিক্ষার্থীরা ১৭ মিনিটে উন্মোচন করলেন ফ্যাসিবাদের মুখোশ!

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ৪ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ২১:৩৭, ৪ আগস্ট ২০২৫

ভৈরব পাড়ে শিক্ষার্থীরা ১৭ মিনিটে উন্মোচন করলেন ফ্যাসিবাদের মুখোশ!

যশোরে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমি নিয়ে রচিত ‘জুলাই জ্বলে উঠুক’ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে যশোর শহরের দড়াটানা ভৈরব নদের পাড়ের পার্কে এই নাটকটি পরিবেশন করেন জেলার ‘জুলাই আন্দোলনের’ যোদ্ধারা। যশোর জেলা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘আইডিয়া প্রতিযোগিতায়’ নির্বাচিত ১৭ মিনিটের এই নাটকে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহতা জীবন্ত করে তোলা হয়।

নাটকটির নির্দেশক জানান, ২০২৪ সালের জুনের শুরুতে বৈষম্যের শৃঙ্খল ভাঙার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও সমতার দাবিতে বুকের ভেতর জমে থাকা যে অগ্নিশিখা, সেটাই জুলাইয়ে রূপ নেয় দাবানলে। শহরের রাজপথে মিছিলের ঢল, গলিতে গলিতে প্রতিধ্বনিত হয় স্লোগান। শিক্ষার্থীদের চোখে শুধু চাকরির আশ্বাস নয়, জ্বলজ্বল করে উঠে এক ন্যায্য সমাজের স্বপ্ন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রও চুপ করে ছিল না। আন্দোলন দমনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং অসংখ্য আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে। ছাত্র জনতার উপর এই দমন-পীড়নের এক পর্যায়ে ডাক আসে এক দফা দাবির—স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ। সারা বাংলায় গর্জে ওঠে ক্ষোভের ঝড়। গণআন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সেই ঐতিহাসিক জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটে রচিত হয় নাটকটি।

নাটক দেখতে দড়াটানা পার্কে জড়ো হন অসংখ্য মানুষ। অনেকেই মুঠোফোনে নাটকের দৃশ্য ধারণ করেন।

নাটকটির নির্দেশক সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে জেলা পরিষদের আয়োজনে তারুণ্যের চিন্তা থেকে আইডিয়া প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয় ‘জুলাই জ্বলে উঠুক’। নাটকটিতে আমরা তুলে ধরেছি কীভাবে ২৪ জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র জনতা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে একত্রিত হয়। তারা সংগঠিতভাবে আন্দোলন চালায়, শহরের প্রতিটি গলি মুখর হয়ে ওঠে স্লোগানে। সেই সময় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার, পুলিশ ও ছাত্রলীগ কিভাবে আন্দোলন দমন করতে চায়, তা আমরা নাটকে দেখিয়েছি। হাজারো শিক্ষার্থী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে এই আন্দোলনে। নাটকের শেষ দৃশ্যে আমরা সেই বিজয়ের মুহূর্তও তুলে ধরেছি।”

তিনি আরও জানান, “গত এক মাসে যশোরের বিভিন্ন স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি জেলার আটটি উপজেলার ১১টি স্থানে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে।”

মিমিয়া

×