
ছবিঃ সংগৃহীত
আজকের ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন যেন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার এখন এক ভয়ংকর আসক্তিতে রূপ নিয়েছে। ঘুমের সমস্যা, একাগ্রতা হ্রাস, মানসিক অস্থিরতা, চোখের ক্ষতি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সম্পর্কেও দেখা দিচ্ছে টানাপড়েন। তবে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চললেই মোবাইল আসক্তি কমানো সম্ভব।
চলুন জেনে নিই প্রতিদিন মেনে চলার মতো সহজ কিছু নিয়ম—
১. নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন
দিনের কোন সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। যেমন—সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল না ধরাই ভালো। নির্দিষ্ট সময় ছাড়া মোবাইল দূরে রাখুন।
২. নোটিফিকেশন বন্ধ করুন
প্রতিনিয়ত আসা নোটিফিকেশন আমাদের মোবাইলের দিকে আকৃষ্ট করে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখলে মনোযোগ বাড়বে এবং মোবাইল ব্যবহারের প্রবণতাও কমবে।
৩. স্ক্রিন টাইম মনিটর করুন
বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই স্ক্রিন টাইম চেক করার অপশন থাকে। প্রতিদিন কতক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করছেন, তা দেখে নিজেরই সচেতন হওয়া সম্ভব। চাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেও রাখা যায়।
৪. ডিজিটাল ডিটক্স দিন পালন করুন
সপ্তাহে অন্তত ১ দিন “ডিজিটাল ডিটক্স” দিন হিসেবে নির্ধারণ করুন—যেদিন আপনি একেবারেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবেন না। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আসক্তি কমাতে সাহায্য করবে।
৫. বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলুন
খালি সময়ে বই পড়া, হাঁটাহাঁটি, ডায়েরি লেখা, গান শোনা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো ইত্যাদি অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে মস্তিষ্ক নতুনভাবে উদ্দীপ্ত হবে এবং ফোনের প্রতি নির্ভরতা কমবে।
🔍 বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
মনোবিদদের মতে, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার একটি আচরণগত আসক্তি। এটি নিয়ন্ত্রণে পরিবার ও কাছের মানুষদের সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং গ্রহণ করতেও দ্বিধা করবেন না।
📌 শেষ কথা:
মোবাইল অবশ্যই সময়ের প্রয়োজন, তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে সেটাই পরিণত হতে পারে ব্যক্তিগত জীবনের বড় বাধায়। তাই নিয়ন্ত্রণে রাখুন প্রযুক্তিকে—নয়তো প্রযুক্তিই নিয়ন্ত্রণ করবে আপনাকে।
আলীম