
সরকার পতনের এক বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিএনপির ‘বিজয় র্যালি’ উপলক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিয়েছেন এক ভিডিও বার্তা। সেখানে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ও সংঘর্ষে নিহত ১৪০০ শহীদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “১৯৭১ সালের মতোই ২০২৪ সালের শহীদদেরও বাংলাদেশ ভুলবে না।”
তারেক রহমান বলেন, “শহীদদের রক্তঋণ শোধ করতে হলে ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনের বিকল্প নেই। ’৭১ ছিল স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, আর ২০২৪ ছিল স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ।”
তিনি দাবি করেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালের সঙ্গে কোনো সরকারের তুলনা চলে না। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা খুঁজতে গিয়ে যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন, তারা হিটলার-নাতসিবাদের মতোই অগ্রহণযোগ্য।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “যারা ঢাকা ডাকাতি করে চ্যারিটি করে, তারা যেমন জনগণের চোখে গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে সাফাই গাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশে আর কখনোই স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না, ইনশাআল্লাহ।”
তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “গণতন্ত্র হত্যা বা বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।”
এদিন নয়াপল্টনে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, “সরকারের ভেতর থেকে ‘১১ সংখ্যার’ প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে এক হীন উদ্দেশ্যে।”
চট্টগ্রামে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও চিন্তাধারার পরিবর্তন না হলে প্রকৃত পরিবর্তন সম্ভব নয়। মানুষের মনোজগতে যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে, তা ধারণে ব্যর্থ হলে কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ থাকবে না।”
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ‘বিজয় র্যালি’র মাধ্যমে মাসব্যাপী জুলাই কর্মসূচির সমাপ্তি টানবে দলটি।
Jahan