ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় কোরবানির চামড়া নিয়ে  বিপাকে ব্যবসায়ীরা

মো:সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৯ জুলাই ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় কোরবানির চামড়া নিয়ে  বিপাকে ব্যবসায়ীরা

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সদর,আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৭ জুন ঈদ-উল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্রয় করে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। চামড়া সংরক্ষণ করার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তারা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। বিগত বছরে কোরবানী ঈদের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চামড়া বিক্রি হয়ে যেত। 

আখাউড়া উপজেলার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আবুল ফজল বলেন, দেড় মাস হ'য়ে গেছে এখনও চামড়া পড়ে আছে আর কিছু দিন এভাবে পড়ে থাকলে চামড়ায় পচন ধরবে, যে দামে চামড়া কিনেছি এর অর্ধেক দামও বলছে না পাইকাররা,  এই অবস্থায় চামড়া কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে না পারলে ধার দেনার দায়ে বাড়ি ঘর ছাড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা আখাউড়া উপজেলা ইউএনও সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম এখন ডিসি সাহেবের কাছেও যাব এর সমাধান পাওয়ার জন্য। কসবা উপজেলার চামড়া ব্যবসায়ী আবুল ফজল জানান, এবছর কোরবানির চামড়া গ্রাম পর্যায়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে  চামড়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা ধরে কিনা হয়েছে এরপর এই চামড়া লবন এবং মজুরি সহকারে প্রতি চামড়া ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা পড়েছে। বর্তমানে এই চামড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম বলে তাও আবার অর্ধেক টাকা দিবে অর্ধেক বাকী রাখবে চামড়া বিক্রি করার পরে দিবে। এবছর সরকারিভাবে কুরবানির পশুর চামড়া ৫৫ থেকে ৬০ টাকা স্কয়ার ফিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রতি চামড়া দাম পড়ে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। 

জেলা সদর উপজেলার কালিসীমার সাবেক ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুছ মিয়া বলেন, সরকার তো এবার আমরারে হুতাইয়া লাইছে যেখানে ৫৫-৬০ টাকা ফুট চামড়া দাম ঠিক কইরা দিছে এখন ২০ টাকা ফুটও বেছতে পারতাছি না, সরকার যদি ক্ষতি পূরণ বা এই চামড়া সঠিক দামে বেছার ব্যাবস্থা না কইরা দেয় তাইলে আমরা কই যামু? 

চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান তারা বিভিন্ন রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় লবন দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করেছে। এভাবে চামড়া মেডিসিন ছাড়া বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। এখন চামড়া বিক্রি করতে না পারলে এই চামড়া পচন শুরু হবে। তাতে ব্যবসায়ীরা প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হবে। চামড়া বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাত জেগে এই চামড়া পাহারা দিচ্ছে তারা। এখন চামড়া বিক্রি করতে না পারলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চামড়া পচন ধরবে তাতে পরিবেশ দূষিত হবে।

এবিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি,এম রাসেদুল ইসলাম বলেন, ভোক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বিসিক প্রতিনিধিগণের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তিনি আরও বলেন, এবিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেব।

রাজু

×