
অবৈধ পথে ইউরোপ ও আমেরিকায়সহ বিভিন্ন দেশে মানবপাচার চক্রের মূলহোতা মো. লাল্টু মন্ডল-(৩৮)কে গ্রেফতার করেছে মাদারীপুরের ডাসার থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত লাল্টু মন্ডল কুষ্টিয়া জেলার উজান দক্ষিন পাড়া গ্রামের আকিবার মন্ডলের ছেলে। আজ শুক্রবার গভীর রাতে ডাসার থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই আসামীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মানবপাচার চক্রের মূলহোতা মো. লাল্টু মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়ছেন ডাসার থানার ওসি শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম। এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামী লাল্টু মন্ডলের ফাঁসির দাবিতে থানা ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মো. লাল্টু মন্ডলসহ বেশ কয়েকজন যুবক মিলে লিভিয়া দিয়ে ইতালী, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কথা বলে ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার বাঘরিয়া গ্রামের রুহুল আমিন চৌকিদার, ইয়ামিন সরদার, তারিব সরদার, বেল্লাল সরদার, সজিব সরদার, রাহাত ও ইব্রাহীমসহ প্রায় ৮/১০টি অসহায় পরিবারের কাছ থেকে নগদ কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় ওই চক্রের সদস্যরা। এবং চক্রের মূলহোতা লাল্টু মন্ডলের নেতৃত্বে ওই যুবকদের লিভিয়া নিয়ে বন্দি করে তাদের নির্যাতন চালিয়ে পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে আসছে। পরে ওই নির্যাতরে শিকার সকল ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে রুহুল আমিন চৌকিদার মা রিনা বেগম বাদি হয়ে লাল্টু মন্ডলসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ডাসার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই লাল্টু মন্ডলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। খবর পেয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী লাল্টু মন্ডলের ফাঁসির দাবিতে থানা ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
মামলার বাদী রিনা বেগম কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেসহ ৮/১০টি অসহায় পরিবারের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে মাফিয়া লাল্টু মন্ডল। বর্তমানে লাল্টু মন্ডলের নেতৃত্বে ওই যুবকদের লিভিয়া নিয়ে বন্দি করে তাদের নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এবং আমাদের কাছে আরো টাকা দাবি করে আসছে। তাই আমি মাফিয়াদের নামে মামলা করেছি। আমরা তাদের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম বলেন, মানবপাচার মামলায় মো. লাল্টু মন্ডল নামে এক যুবককে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
Jahan