
ছবি: সংগৃহীত
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হওয়া সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাব রহমান ভূঁইয়া (১৩) চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
মাহতাব ছিলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের চুলাশ ভূঁইয়া বাড়ির মিনহাজুর রহমান ভূঁইয়ার একমাত্র ছেলে।
বিকেলে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্থানীয়রা জানান, মাহতাব ছিল অত্যন্ত ভদ্র ও মেধাবী ছেলে। তার এমন করুণ মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না।
নিহতের মামা রাকিবুল ইসলাম বলেন, "ভাবতেই পারছি না মাহতাব আর নেই। তার হাসিমাখা মুখটা ভুলতে পারছি না। পরিবারের জন্য এই শোক কখনও ভুলবার নয়।"
মাহতাবের বাবা মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমার সব স্বপ্নই ছিল ছেলেকে ঘিরে। ঘটনার দিন হাসপাতালে ছুটে গেলে মাহতাব আমাকে বলে, ‘বাবা চিন্তা কোরো না, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।’ পরে ও জুস খেতে চেয়েছিল, আমি খাইয়ে দিই। আর সেই সোনামণিটা আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার পুরো পৃথিবীটাই যেন থেমে গেছে।"
বৃহস্পতিবার বাদ এশা চুলাশ উখারী বাজার শাহী ঈদগাঁ মাঠে জানাজা শেষে মাহতাবকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার জানাজায় শত শত মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে আগুন ধরে গেলে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে মাহতাব ছিলেন সবচেয়ে গুরুতর। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
আসিফ