
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাজউদ্দিন আহমদকে ঘিরে পাকিস্তান আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অথচ অবহেলিত অধ্যায়ের প্রতি আলোকপাত করেছেন। তিনি বলেন, তাজউদ্দিন আহমদের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে পাকিস্তান আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার বিস্তর বর্ণনা থাকলেও তা খুব কমই আলোচনায় এসেছে। অথচ এই আন্দোলনকে ছাড়া বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম ইতিহাস সম্পূর্ণভাবে অনুধাবন করা যায় না।
মাহফুজ আলম লেখেন, ১৯৪০-এর দশকে পূর্ব পাকিস্তান আন্দোলন ছিল একটি নিম্নবর্গীয় হিন্দু-মুসলমান ঐক্যভিত্তিক লড়াই। সেই সময় ‘পূর্ব পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানের মাধ্যমে পূর্বাঞ্চলীয় জনগণ নিজেদের আলাদা সত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পথে নেমেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের নিপীড়ন ও গণহত্যার প্রেক্ষিতে এই আন্দোলনের প্রাথমিক চেতনা ধামাচাপা পড়ে যায়।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আন্দোলনকে নিপীড়ক পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাথে একীভূত করে দেখা ঠিক নয়। মুক্তিযুদ্ধ ও বাকশালের মতো ইতিহাসকে প্রেক্ষিত অনুযায়ী আলাদা করে পাঠ করলেই ইতিহাসের প্রতি ন্যায্যতা রক্ষা হয়।
তথ্য উপদেষ্টা তাঁর স্ট্যাটাসে শহিদ নাজিরকে স্মরণ করেন, যিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শহিদ হন। তাঁর নামে গড়ে উঠেছিল নাজির সিরিজ, নাজিরাবাজার এবং তাজউদ্দিন আহমদের ডায়েরিতে বর্ণিত ‘শহিদ নাজির লাইব্রেরি’।
মাহফুজ আলম উল্লেখ করেন, পুরান ঢাকার ১৫০ নং মোগলটুলী অঞ্চলটি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বহু গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের সূতিকাগার ছিল। তিনি এ প্রসঙ্গে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক এবং প্রখ্যাত নেতা আবুল হাশিমের ভূমিকাও স্মরণ করেন।
তাঁর এই স্ট্যাটাস ইতিহাসের উপেক্ষিত দিকগুলো নতুন করে ভাবতে ও আলোচনায় আনতে এক অনন্য সূত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আসিফ