
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুর, মনপুরা -হাতিয়া সহ ১০ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।যার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।
এদিকে অস্বাভাবিক জোয়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলা ইলিশা -লক্ষ্মীপুর ফেরীঘাটের দুইটি গ্যাংওয়ে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী বাহি গাড়ি, কাঁচামাল বহনকারী ট্রাক ও যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার সময় সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশা ফেরীঘাটে লো গ্যাংওয়ের উপরে কোমর সমান পানি। আর হাই গ্যাংওয়ের উপরে হাঁটু সমান পানি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে জোয়ারের সময় নদী ও সাগরের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে তখন থেকে ভোলা লক্ষ্মীপুর ইলিশা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে ডুবে যায়।
এ সময় ফেরিঘাটের দুই পাড়ে আটকা পড়ে অসংখ্য যানবহন। এসব যানবাহনের যাত্রীদের ভাটার জন্য, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষার মৌসুম ছাড়াও জলোচ্ছ্বাস এবং জোয়ারের সময় পানি অস্বাভাবিক ভাবে বাড়লে, ওই সড়কের ফেরী ঘাটের গাংওয়ে গুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়, এতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইলিশা ফেরিঘাটের ম্যানেজার মোঃ কাউছার আহামেদ বলেন, লো-গ্যাংওয়ে টি দেখা শোনার দায়িত্ব বিআইডব্লিউটি এর, আর হাই গাংওয়ে টি বড় জোয়ারে সময় ডুবে যায়, কিন্তু ছোট জোয়ারের সময়ে ডুবে না।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি হওয়ায় ফের ভোলা জেলার ইলিশা থেকে লক্ষীপুর, মনপুরা-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ ১০টি নৌ-রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে ভোলা-ইলিশা রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রাজু