ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

বিমান দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কী বললেন সাবেক এয়ার কমোডর?

প্রকাশিত: ২১:১৩, ২১ জুলাই ২০২৫

বিমান দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কী বললেন সাবেক এয়ার কমোডর?

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী সম্প্রতি  ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের স্মরণকালের ইতিহাসে অন্যতম দুঃখজনক দুর্ঘটনা, যেটি টেকঅফ করার পরপরই ঘটেছে এবং শহর এলাকায় হয়েছে যা আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

তিনি জানান, আমাদের বর্তমান বিমানবন্দরটি চারপাশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে টেকঅফ বা ল্যান্ডিংয়ের সময় যদি কোনো ধরনের জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হয়, সেটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এই দুর্ঘটনাটিও তেমনই একটি ঘটনা, যা দুঃখজনকভাবে একটি স্কুলের ওপর গিয়ে পড়েছে। তখন স্কুলে বহু শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল, যা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।

তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো তদন্তাধীন। তিনি মনে করেন, এটি কোনো মেকানিক্যাল বা ইলেকট্রিক্যাল ত্রুটির কারণে হয়ে থাকতে পারে। তবে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

বসতিপূর্ণ এলাকায় এমন বিমান চলাচল বা প্রশিক্ষণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, এই ঘটনায় কোনো প্রশিক্ষণ চলছিল না। এটি ছিল একটি টেকঅফ মিশন। বিমানটি রসুলপুর রেঞ্জের দিকে, যা মধুপুরের কাছে অবস্থিত, যাচ্ছিল প্রশিক্ষণের জন্য। টেকঅফ তো রানওয়ে থেকেই করতে হয়, আর সে কারণেই বিমানগুলো উত্তরা, দিয়াবাড়ি, বা দক্ষিণমুখী হলে নিকুঞ্জ, বাড়িধারা, গুলশান হয়ে রামপুরার আকাশপথ ব্যবহার করে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র বিমান বাহিনীর বিমান নয়, সবধরনের বাণিজ্যিক বিমানও এই একই পথ ব্যবহার করে টেকঅফ ও ল্যান্ড করে। যদি টেকঅফ বা ল্যান্ডিংয়ের ঠিক আগেই কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তা শহর এলাকাকেই প্রভাবিত করবে, কারণ আমাদের শহর বিস্তৃত হয়ে বিমানবন্দরকে চারিদিকে ঘিরে ফেলেছে।

ইশফাক ইলাহী চৌধুরী আরও বলেন, আদর্শভাবে বিমানবন্দর ঘনবসতি থেকে দূরে হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এই বিমানবন্দর তো তৈরি হয়েছিল প্রায় ৬০-৭০ বছর আগে, ১৯৬০ বা ১৯৬২ সালের দিকে। তখনকার ঢাকায় এমন জনবসতি ছিল না। বর্তমানে শহর যেভাবে প্রসারিত হয়েছে, তাতে করে বিমানবন্দর এখন চারপাশে জনবসতিপূর্ণ এলাকার মাঝে আটকে পড়েছে যা নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

Jahan

×