
খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর মুক্তমঞ্চে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম
পার্বত্যাঞ্চ প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি \ এনসিপির কেন্দ্রীয় আহŸায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, একটি রাষ্ট্র কত বেশি বৈচিত্র্য ধারণ করতে পারে, তার ওপরই রাষ্ট্রের মর্যাদা ঠিক হয়। ’৭২ এর সংবিধানে সেটিকে অস্বীকার করা হয়েছে। এসব জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি সেই সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়নি। সেখানে জাতির সঙ্গে জাতির বিদ্বেষ, ধর্মের সঙ্গে ধর্মের পার্থক্য, সেকুলারিজমের সঙ্গে ইসলামের বিভেদ; এ রকম নানা রকম বিভেদ জিইয়ে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন । এ সময় তিনি বলেন, পাহাড়ের উন্নয়নে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করার কোনো বিকল্প নেই। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ এর অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে পদযাত্রা শেষে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘পাহাড়ে বসবাস বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন দ্ব›দ্ব রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠী বঞ্চিত। পাহাড়ে যদি উন্নয়ন ঘটাতে হয় তাহলে ঐক্য ও সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। সম্প্রীতির মাধ্যমে পাহাড়ে উন্নয়ন ঘটাতে পারলে পাহাড়ি -বাঙালি সবাই লাভবান হবে।’
খাগড়াছড়ি শহরের মুক্তমঞ্চের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। মুখ্যসংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সদস্য সচিব আকতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, খাগড়াছড়ির জেলা সমন্বয়ক মনজিলা ঝুমা প্রমুখ। এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মাইলস্টোন কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রæত চিকিৎসা দেওয়ার আহŸান জানান উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় শহরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে পদযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে পদযাত্রায় অংশ নিতে জেলার ৯ উপজেলা থেকে বিপুলসংখ্যক এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নিয়েছেন।
এরআগে কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি পৌঁছান। পদযাত্রা ও সমাবেশ শেষে ফিরে যাবেন ফেনীতে। সেখানেও কর্মসূচি রয়েছে সংগঠনটির।
সমাবেশ শেষে পরে মাইলস্টোন কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় সকলের সুস্থতা কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতি ইনজামুল হক।
কর্মসূচিকে ঘিরে খাগড়াছড়িতে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও এপিবিএন সদস্যরাও নিরাপত্তায় দেখা যায়।