
ছবি: জনকণ্ঠ
সারাদেশে চাঁদাবাজি, দখলদারি, ধর্ষণ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এবং জুলাই শহীদ দিবস ও গণহত্যার বিচার দাবিতে গণ পদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ, ভোলা জেলা শাখা।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৪টায় ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পদযাত্রাটি আবার প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়। এই গণ পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন গণঅধিকার পরিষদের ভোলা জেলার সাবেক সদস্য সচিব আতিকুর রহমান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তর হাওলাদার, ভোলা সদর উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ, সদস্য সচিব ফিরোজ আহমেদ, লালমোহনের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন দেওয়ান, ছাত্র অধিকার পরিষদ ভোলা জেলা শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবর, সাধারণ সম্পাদক আরিয়ান আরমান এবং দপ্তর সম্পাদক রাহাদ হাসান রুমি।
বক্তারা বলেন, “দেশজুড়ে চলমান ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এখনই জনতার রাস্তায় নামা জরুরি। যারা শহীদ হয়েছেন—তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা যেভাবে সংগ্রাম করেছে, তা দেশের ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায়।”
সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যে মামলা নেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
এছাড়াও বক্তারা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাহিদ হোসেন আলমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পদযাত্রা ও প্রতিবাদ কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ