
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিতব্য নতুন রেললাইন প্রকল্পের পাশে পরিবেশ রক্ষায় ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগ।
১৬ জুলাই (বুধবার) পরিবেশবান্ধব এ উদ্যোগে অংশ নেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. সুবক্তকীন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা।
রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রকল্প এলাকা চিরসবুজ রাখার লক্ষ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, নিম, মেহগনি, শিরীষ, আকাশমনি সহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এই গাছগুলো রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
চারা রোপণের সময় উপস্থিত ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB) এর প্রতিনিধি দল, যারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে রেলপথ নির্মাণের অগ্রগতি ও সবুজায়নের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সচেতনতার এই ধারা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমরা আশা করছি, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতেও এইসব উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।”
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জিএম মো. সুবক্তকীন বলেন, “দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ শুধু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য যুগান্তকারী যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়, এটি দেশের পর্যটন খাতেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। আমরা প্রকৃতির সুরক্ষা ও পরিবেশ রক্ষায় সবসময় মনোযোগী। এই চারা রোপণ কর্মসূচি আমাদের টেকসই উন্নয়নের অংশ।”
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনটি প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারকে সরাসরি সংযুক্ত করবে। এই রেলপথ চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ও মালবাহী পরিবহনে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভবিষ্যতেও প্রকল্পের বিভিন্ন অংশে নিয়মিতভাবে চারা রোপণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে এবং পরিবেশবান্ধব প্রকল্প হিসেবে এটি টেকসই উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ কাজটি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB) ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে, যেখানে পরিবেশ রক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
রাজু