ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

তরুণরাই গড়বে সুন্দর পৃথিবী! ভোলাগঞ্জে পরিবেশ সচেতনতা কার্যক্রমে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

আইনুল হক, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ১৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১২:৫৫, ১৩ জুলাই ২০২৫

তরুণরাই গড়বে সুন্দর পৃথিবী! ভোলাগঞ্জে পরিবেশ সচেতনতা কার্যক্রমে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

ভোলাগঞ্জে পরিবেশ সচেতনতা কার্যক্রমে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

সিলেটের নয়নাভিরাম পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার "প্লাস্টিকমুক্ত ভোলাগঞ্জ, পরিবেশবান্ধব পর্যটন" শীর্ষক এই কার্যক্রমের সূচনা করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

সিকৃবি পরিবেশ ক্লাব এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছে শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকনটাক্ট, ইসলামী রিলিফ বাংলাদেশ, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ইয়ুথনেট গ্লোবাল এবং সুরমা রিভার কিপার।

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য সংগ্রহ, স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছের চারা বিতরণ এবং একটি প্রাথমিক প্লাস্টিক ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের মতো কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এতে সিকৃবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিবেশকর্মী এবং স্থানীয় জনগণ সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

সিকৃবির কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, "প্রকৃতি আমাদের পরম বন্ধু হলেও মানুষের অসচেতন আচরণ আজ তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ভোলাগঞ্জের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলো রক্ষা করতে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।"

তিনি আরও বলেন যে, প্লাস্টিক দূষণ প্রকৃতি, অর্থনীতি এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। পরিবেশ সচেতনতা এবং অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে ভোলাগঞ্জকে একটি আদর্শ পরিবেশবান্ধব ও সচেতন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরে জানান যে, টেকসই পর্যটনের জন্য এটি অপরিহার্য। তাদের মতে, ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পর্যটন এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।

সিকৃবি পরিবেশ ক্লাবের সদস্যরা এই কর্মসূচিকে একটি চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা প্লাস্টিক দূষণমুক্ত, সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তাসমিম

আরো পড়ুন  

×