ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

সব ক্লান্তি বিষণ্ণতা নয়, কিন্তু কিছু ক্লান্তি হতে পারে বিপজ্জনক

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ১৩ জুলাই ২০২৫

সব ক্লান্তি বিষণ্ণতা নয়, কিন্তু কিছু ক্লান্তি হতে পারে বিপজ্জনক

ছবি: সংগৃহীত

আমরা অনেক সময় শারীরিক বা মানসিক দুর্বলতা অনুভব করি—যার পেছনে কারণ হতে পারে "ক্লান্তি" অথবা "বিষণ্ণতা" (ডিপ্রেশন)। তবে এ দু’টির লক্ষণ অনেকটাই একরকম হওয়ায় অনেকেই বিভ্রান্ত হন। চলুন বুঝে নিই, এই দুই অবস্থা কীভাবে আলাদা এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ক্লান্তি (Fatigue) কী?
ক্লান্তি হলো শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রমের ফলে সাময়িক শক্তিহীনতা বা অবসাদ অনুভব করা। এটি ঘুম, বিশ্রাম, পুষ্টিকর খাবার, বা কিছু সময় ছুটি কাটালে সাধারণত কেটে যায়।

ক্লান্তির সাধারণ লক্ষণ:
শরীরে দুর্বল লাগা
মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হওয়া
একটানা কাজ করতে অনীহা
বিশ্রামের পর উন্নতি অনুভব হওয়া

বিষণ্ণতা (Depression) কী?
বিষণ্ণতা হলো একটি মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা, যা শুধু ক্লান্তিই নয় বরং মেজাজ, চিন্তা, ঘুম, খাদ্যাভ্যাসসহ পুরো জীবনাচরণকে প্রভাবিত করে।

বিষণ্ণতার লক্ষণ:
সবসময় মন খারাপ ও নিরুত্সাহ বোধ করা
আগ্রহের জিনিসেও আর আনন্দ না পাওয়া
ঘুমের সমস্যা (অতিরিক্ত ঘুম বা অনিদ্রা)
খাওয়া বেড়ে যাওয়া বা একদম কমে যাওয়া
নিজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা বা আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
আত্মহত্যার চিন্তা (গুরুতর লক্ষণ)

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
যদি ক্লান্তি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং বিশ্রামেও না কমে
প্রতিদিনের কাজকর্মে আগ্রহ হারান
মন সবসময় খারাপ থাকে বা অকারণে কান্না আসে
ঘুম বা খাওয়ার প্রবণতা মারাত্মকভাবে পরিবর্তিত হয়
আত্মহানির চিন্তা মাথায় আসে

ক্লান্তি ও বিষণ্ণতা—দুটিই গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া দরকার, তবে তাদের ব্যবস্থাপনা ভিন্ন। ক্লান্তি হলে নিজের প্রতি যত্ন নিতে শিখুন, আর বিষণ্ণতা সন্দেহ হলে সময়মতো চিকিৎসা নিন। মনে রাখবেন, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নও শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে বিষণ্ণতার লক্ষণ অনুভব করেন, দয়া করে একা থাকবেন না—বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন।

ফারুক

×