
সুস্বাদু স্বাদ ও মোলায়েম গঠনের জন্য পরিচিত কাজুবাদাম শুধুই মুখরোচক একটি বাদাম নয়, এটি একাধারে একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর সুপারফুডও। অনেকেই একে শুধু নাস্তার উপাদান হিসেবে খেয়ে থাকেন, কিন্তু কাজুবাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে হয়তো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এর জন্য জায়গা রাখতেই হবে। হৃদযন্ত্র থেকে ত্বক, হাড় থেকে চোখ শরীরের বহু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কাজুবাদাম রাখে ইতিবাচক প্রভাব।
চলুন জেনে নিই কাজুবাদামের ৭টি বিস্ময়কর স্বাস্থ্যগুণ-
১. হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় সহায়ক
কাজুবাদামে রয়েছে হৃদয়বান্ধব মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা অলিভ অয়েলে পাওয়া ফ্যাটের মতোই উপকারী। এই উপাদান খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
যদিও কাজুবাদাম ক্যালরিতে সমৃদ্ধ, তবুও এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমায় এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
৩. হাড় শক্তিশালী করে
কাজুবাদাম ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস, যা হাড় মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত এসব পুষ্টি গ্রহণ হাড়ের ক্ষয় এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪. হজমে সহায়ক
কাজুবাদামে রয়েছে খাদ্য আঁশ, যা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক। এটি মলত্যাগ নিয়মিত রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কাজুবাদামে থাকা জিঙ্ক শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে সর্দি-কাশির মৌসুমে।
৬. চোখের জন্য উপকারী
কাজুবাদামে লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া ছানিপড়া ও বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমাতেও এটি কার্যকর।
৭. ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখে
কাজুবাদামে থাকা কপার ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এটি কোলাজেন ও ইলাস্টিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা ত্বককে টানটান ও বলিরেখা মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কাজুবাদাম শুধু একটি সুস্বাদু বাদাম নয়, এটি শরীরের নানা দিক থেকে সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক একটি খাদ্য উপাদান। প্রতিদিনের ডায়েটে পরিমাণ মতো কাজুবাদাম রাখলে হৃদয়, হাড়, ত্বক ও চোখের যত্নের পাশাপাশি শরীরের প্রতিরোধক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তবে ক্যালরির দিকটি মাথায় রেখে সীমিত পরিমাণে গ্রহণই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হবে
আফরোজা