ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

গাইবান্ধার দারিয়াপুর

হাটের পাশে ময়লার ভাগাড়,  দুর্ভোগে ক্রেতা- বিক্রেতাসহ পথচারীরা

রাহুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ০১:২৭, ১৪ জুলাই ২০২৫

হাটের পাশে ময়লার ভাগাড়,  দুর্ভোগে ক্রেতা- বিক্রেতাসহ পথচারীরা

ছবি: জনকণ্ঠ

গাইবান্ধার দারিয়াপুর হাটের পাশেই বিশাল মাঠে অস্থায়ীভাবে ফেলা হচ্ছে ময়লা। খোলা জায়গায় ময়লা ফেলে রাখার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে ব্যবসায়ী ও  পথচারীরা। যার ফলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাড়লেও হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। তাই ক্ষুব্ধ  হাটের ক্রেতা- বিক্রেতা 
ও পথচারীরা।

জানা গেছে, প্রতিবছর এ হাট থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও দীর্ঘদিন থেকে এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীমহল। 

এ ময়লার ভাগাড়ের বিপরীত পাশেই রয়েছে মসজিদ,  জুতা, ফল, দুধ, কাপড় ও মাংসের দোকান, পাশেই রয়েছে উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ জনগুরুত্বপূর্ণ অনেক কার্যালয়।

 যার কারণে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। প্রতিদিন এই স্থানে  যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা, ড্রেন ও নর্দমার পরিষ্কার করা ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে এটি বিশাল ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দাবদাহের কারণে ভাগাড়ের ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, ছড়াচ্ছে রোগ-জীবাণু। ভাগাড়ের কারণে পথচারী ছাড়াও আশপাশের দোকান ও আবাসিক বাড়িগুলোর মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষক আব্দুর রশিদ অভিযোগ করেন, "ময়লার দুর্গন্ধে এই স্থানে বাজার করতে এসে টেকা যায় না। খোলা জায়গায় ময়লা ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাগাড়ের পাশের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, "আমরা অনেকবার এখান থেকে ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছি কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কর্ণপাত করে না।"

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুর মোঃ খালেকুজ্জামান  বলেন, "মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসার পথে দুর্গন্ধে বমি চলে আসে। মুখে মাস্ক পরে চলাচল করতে হয়।"

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা আনোয়ার রুমী বলেন, "কোটি কোটি টাকা প্রতি বছর রাজস্ব আদায় হয় এই হাট থেকে। তবে এ হাটের কোন উন্নয়ন হয় না, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ময়লার ভাগাড়ের কারণে হাটের ব্যবসায়ী ও পথচারীদর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বাড়ছে নানা ধরনের রোগ।"

হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ঘাগোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, "বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কেও অবগত করেছি, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যা নিরসন করতে পারবো।"

Mily

×