
ফরিদপুর শহরের কমলাপুরে অবস্থিত ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে তিন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ মোট পাঁচজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার মারিগোলা এলাকার আব্দুস সোবাহান (৭৫), তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫) ও জামাতা মো. তৈয়ব (৩০)। আটক দালালরা হলেন ফরিদপুর শহরের চাঁনমারি এলাকার সিয়াম আহমেদ (২৭) এবং কমলাপুর বটতলা এলাকার রাশেদ খান (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুস সোবাহান ও তাঁর স্ত্রীর নামে পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে দালালদের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। ১৫ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়ার পর রবিবার ফরিদপুরে এসে বাকি অর্থ পরিশোধ করা হয়। কিন্তু দালালরা কোনো প্রক্রিয়া শুরু না করে বরং ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। একপর্যায়ে তৈয়বকে মারধর করা হয়। তিনি দৌড়ে পাসপোর্ট অফিসে ঢুকে আনসার সদস্যদের সহায়তা চান। পরে অফিস কর্তৃপক্ষ পাঁচজনকেই আটকে রেখে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দেয়।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আহাদুজ্জামান জানান, আটক তিনজন রোহিঙ্গা বহু আগে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন এবং বর্তমানে কক্সবাজারে বসবাস করছেন। তারা প্রতারণার শিকার হয়ে পাসপোর্ট করতে এসেছিলেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, "রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। তারা যদি কক্সবাজারের কোনো ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত হন, তাহলে তাঁদের সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর স্থানীয় দুই দালালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।"
Mily