
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হলেও বেশিরভাগই জানেন না তারা এই সমস্যায় ভুগছেন। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১০ কোটি ৩০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। অনেক সময় উপসর্গ না থাকলেও কখনো কখনো কিছু লক্ষণ বিপদের বার্তা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্নোক্ত উপসর্গগুলোর এক বা একাধিক দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
১. মাথাব্যথা:
উচ্চ রক্তচাপজনিত জরুরি অবস্থার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। রক্তনালিতে অতিরিক্ত চাপ বাড়লে মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে তীব্র মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে।
২. চোখে ঝাপসা দেখা:
রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে গেলে চোখের রক্তনালী ও অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে পারে।
৩. বুকব্যথা:
যখন হৃদপিণ্ডের ধমনিতে যথেষ্ট রক্ত প্রবাহ হয় না, তখন বুকব্যথা হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাইপারটেনসিভ রোগীদের ২৭% বুকব্যথার অভিযোগ করেছেন।
৪. শ্বাসকষ্ট:
উচ্চ রক্তচাপ হৃদযন্ত্রে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, যা ফুসফুসে রক্ত জমে যাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
৫. কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া:
উচ্চ রক্তচাপ কিডনির রক্তনালী সংকুচিত করে কাজের অক্ষমতা সৃষ্টি করে। এতে শরীরে তরল জমে গিয়ে রক্তচাপ আরও বেড়ে যায় এবং কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সময় কখন?
চিকিৎসকরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপের নির্ভরযোগ্য উপসর্গ না থাকলেও ১৮ বছরের পর থেকে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। যাদের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে বা বয়স ৪০ বছরের বেশি, তাদের বছরে অন্তত একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা ও সময়মতো চিকিৎসা নিতে পারলেই উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতা থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
শিহাব