ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

কিডনি নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়: ৭টি লক্ষণ দেখলেই নিন সতর্কতা

প্রকাশিত: ২১:৩০, ১৩ জুলাই ২০২৫

কিডনি নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়: ৭টি লক্ষণ দেখলেই নিন সতর্কতা

ছবি: সংগৃহীত

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, অনেক সময় কোনো বড় উপসর্গ ছাড়াই। ফলে যখন লক্ষণগুলো প্রকট হয়ে দেখা দেয়, তখন কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ শুরুতেই সতর্কবার্তা দিতে পারে, যেগুলো অবহেলা করা বিপজ্জনক।

বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক ডা. মাহবুব রহমান বলেন, “শুরুর দিকে কিডনি সমস্যা অনেকটাই নীরব থাকে। কিন্তু কিছু পরিবর্তন আছে, যেগুলো নিয়মিত খেয়াল করলে সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব।”

নিচের ৭টি লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হোন:
১. ঘন ঘন মূত্রত্যাগ বা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া: বিশেষ করে রাতের বেলা প্রস্রাবের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া কিডনি সমস্যার পূর্বাভাস হতে পারে।
২. চোখ ও মুখে ফুলে যাওয়া: কিডনির কার্যকারিতা কমলে শরীরে পানি জমে যায়, যার ফলে চোখের পাতা বা মুখে ফোলাভাব দেখা দেয়।
৩. চাপহীন ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ঠিকমতো রক্ত পরিষ্কার না করলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমে ক্লান্তি আসে।
৪. বমি ভাব ও ক্ষুধামান্দ্য: শরীরে টক্সিন জমে গেলে হজমে সমস্যা হয়, যা বমিভাব, অরুচি ও ওজন হ্রাস ঘটাতে পারে।
৫. চর্মরোগ বা চুলকানি: কিডনির সমস্যা ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ির মতো সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
৬. মূত্রের রঙে পরিবর্তন: প্রস্রাবে ফেনা, রক্ত বা ঘন গন্ধ কিডনি অসুস্থতার ইঙ্গিত দিতে পারে।
৭. পায়ের গোড়ালি বা গাঁটে পানি জমা: দেহে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে তা হাত-পা বা গাঁটে ফুলে ওঠে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, উপরের যেকোনো লক্ষণ একাধিকবার দেখা দিলে দেরি না করে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে তা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে রূপ নিতে পারে, যার শেষ পরিণতি ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন।

সচেতনতা আর প্রাথমিক চিকিৎসাই পারে কিডনির ক্ষতি ঠেকাতে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই হতে পারে কিডনি সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।

ফারুক

×