
ছবি: সংগৃহীত
কিডনির ক্যানসার ধীরে ধীরে মানুষের জীবনে এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে উঠছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ‘রেনাল সেল কারসিনোমা’ হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ ধরনের কিডনি ক্যানসার, যা মোট কিডনি টিউমারের প্রায় ৭০ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা গেলেও নারীরাও আক্রান্ত হন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তি।
যেসব কারণে কিডনির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে:
- ধূমপান
- অতিরিক্ত ওজন
- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ
- পারিবারিক বা জেনেটিক কারণ
কিডনি ক্যানসারের লক্ষণ:
- কোমরে বা পাশের দিকে অব্যাহত ব্যথা
- প্রস্রাবে রক্ত আসা
- পেটে চাকা বা ফোলাভাব অনুভব
- শরীরে অবসন্নতা ও জ্বর
- হঠাৎ ওজন হ্রাস
- পা ফুলে যাওয়া
- অণ্ডকোষের শিরায় ফোলাভাব (পুরুষদের ক্ষেত্রে)
রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা:
- রক্ত ও প্রস্রাবের পরীক্ষা
- পেটের আলট্রাসনোগ্রাফি
- ট্রাইফেজিক কনট্রাস্ট সিটি স্ক্যান / এমআরআই
এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে নির্ণয় করা হয় টিউমারের ধরণ, আকার, অবস্থান ও তা শরীরের অন্য কোথাও ছড়িয়েছে কি না।
চিকিৎসা পদ্ধতি:
চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যানসারের স্টেজ ও গ্রেড এর ওপর।
- কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করে টিউমার অপসারণ
- আংশিক বা সম্পূর্ণ কিডনি অপসারণ
- ছোট টিউমারের (৩ সেমি এর কম) জন্য থার্মাল অ্যাবলেশন
- সাধারণ কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি কম কার্যকর
- ইমিউনোথেরাপি বেশি কার্যকর
- ক্যানসার ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন সমন্বিত চিকিৎসা প্রয়োজন হয়
প্রতিরোধে যা করবেন:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
- ধূমপান বন্ধ করুন
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
পরামর্শ:
কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রতিরোধই সর্বোত্তম চিকিৎসা, তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই হতে পারে কিডনির ক্যানসার প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার।
আঁখি