ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

সড়ক নয় যেন মৃত্যু ফাঁদ!

মোঃ জয়নাল আবেদীন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, সীতাকুণ্ড

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ৯ জুলাই ২০২৫

সড়ক নয় যেন মৃত্যু ফাঁদ!

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চারাল কান্দি সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ! ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংযুক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের চিত্র দেখে মনে হবে শতাব্দীর চরম অবহেলিত সড়ক। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অভিভাবকহীন অবহেলিত সড়ক হিসেবে পরিচয় মেলে। কেননা অবৈধ সরকার হাসিনার আমলে কোন প্রকার সংস্কার করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক বুক আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

বাড়বকুণ্ড ৯ নং ওয়ার্ড নড়ালিয়া চারালকান্দি চরম অবহেলিত সড়কটি খানাখন্দে ভরা। এ সড়কে প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থী, শ্রমিক সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষেরা চলাচল করে। এছাড়া সিএনজি, অটোরিকশা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যানবাহন এই সড়ক ব্যবহার করে। এরফলে সড়কে যানবাহন উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে।

জানা যায়, সড়কটি ঘিরে পিএইচপি গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড, আর আর জুট মিলস, আর আর টেক্সটাইল, জিপিএস,ইউনিটেক্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, কাজীপাড়া বায়তুন নুর দাখিল মাদ্রাসা, মোজাদ্দেদীয়া নুরিয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা, সি সি সি উচ্চ বিদ্যালয়, বাড়বকুণ্ড হাইস্কুল এন্ড কলেজ, আর আর টিএম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আর আর টিএম উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এসব মিল কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী‌ চারাল কান্দি সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষকদল নেতা মোঃ আলম বলেন, এই সড়কটি চারালকান্দি পিএইচপি সোজা পশ্চিমে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার করার বিষয়ে বলা হলেও অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। অথচ এই সড়কে প্রতিদিন ৬-৮ হাজার মানুষ চলাচল করে। এছাড়া ৬০-৭০ টি গাড়ি চলাচল করে।কিছুদিন আগে সড়কের দূর অবস্থার কারণে একজন যাত্রীর পা ভেঙে যায়। এতে সে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা চাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক। উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শিক্ষার্থী ও শ্রমিকরা জানান, আমাদের চলাচলের একমাত্র পথ চারালকান্দি পিএইচপি সড়ক। সড়কে সব সময় পানি জমে থাকে। এছাড়া একশ গজ পর পর সড়কে বড় বড় গর্ত দেখা যায়। এরফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে নানা ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা চাই সড়কটির সংস্কার চাই।

স্থানীয় প্রবীণ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, চারালকান্দি পিএইচপি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এটি সংস্কার করা অতীব জরুরী মনে করছি। কেননা এই সড়কের ভয়াবহ চিত্র চোখ আঁতকে উঠার মত। এছাড়া সড়ক দেখলে মনে হবে কোন ডোবা বা জলাশয়।

সীতাকুণ্ড উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর বলেন, আপাতত চারালকান্দি সড়কের কোন বরাদ্দ নেই। আমরা কিছু প্রজেক্টের কাজ পাঠিয়েছি তারমধ্যে সড়কটি আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি এসব প্রজেক্টে নাম না থাকে আমরা দেওয়ার চেষ্টা করবো।

রাজু

×