
ছবি: জনকণ্ঠ
কক্সবাজার সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত দুই দিনে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করাহলো। নিখোঁজ রয়েছে আরও এক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে কক্সবাজারের হিমছড়ি পয়েন্টের সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে এবং আজ বুধবার সকালে সমিতি পাড়ার নাজিরারটেক থেকে আসিফ নামের আরও একজন শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে একই ঘটনায় অরিত্র নামের আরও এক শিক্ষার্থী এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়ে যায়। নিহত ও নিখোঁজ সকলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫জন শিক্ষার্থী হিমছড়ি পয়েন্টে গোসলে নামেন। কিছুক্ষণ পরেই ঢেউয়ের তোড়ে তিনজন সাগরের গভীরে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম সাদমান রহমান ওরফে সাবাব (২১)। তিনি ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা। নিখোঁজ রয়েছে বগুড়ার দুই শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদ। তারা একই বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী। তন্মধ্যে বুধবার সকালে আসিফ আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ( এডিশনাল ডিআইজি ) আপেল মাহমুদ বলেন, ৫ বন্ধু মিলে কক্সবাজার ঘুরতে আসেন। তারা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩-২৪ সেশনের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা সকালে হিমছড়ি সৈকতে যান। যার মধ্যে দুইজন বাঁধের উপরে বসে ছিল এবং অপর ৩ জন বাঁধের নিচে সাগরে গোসল নামে। এসময় ঢেউয়ের তোড়ে তিনজনই সাগরে ভেসে যায়।
যার মধ্য সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুজন নিখোঁজ রয়েছে৷
শিহাব