
ছবি: সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর রেলগেটের কাছে খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক জীবন মন্ডল (২৩) নামে এক যুবকের মৃতুর ঘটনায় এলাকাবাসী রেলপথ অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্থানীয়রা অবরোধ করে রাখে। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন যাবত আমিরপুর গ্রামের একমাত্র রেলগেটটি অরক্ষিত। এখানে বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত গেটম্যান দিতে হবে তারপর ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
নিহত জীবন মন্ডল সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের আরমান মন্ডলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫ টার দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে আমিরপুর গ্রামের রেলগেটে আসেন। এ সময় একটি ট্রেন যাচ্ছিল। ট্রেনটি চলে গেলে মোটরসাইকেলটি নিয়ে লাইন পার হতে গেলে খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয় । এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। মোটরসাইকেলটি ট্রেনের ইঞ্জিনে নিচে পড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে টেনে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি বলেন, এখানে অবশ্যই গেটম্যানের প্রয়োজন। আমি ৩ দিনের সময় নিচ্ছি, গেটম্যানের জন্য যেখানে যেখানে কথা বলার প্রয়োজন আমি কথা বলব। এ আশ্বাস পেয়েও বিক্ষোভকারীরা রেলপথ ছাড়েননি। তারা ওসিকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে বলেন।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু বলেন, রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে ট্রেন অবরোধ করেছে। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার একেএম ইউসুফ পলাশ জানান, আমিরপুরের রেলক্রসিংয়ের কাছে এক যুবক মৃত্যুর ঘটনায় রেলপথ অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলকারীদের সাথে কথ বলেন এবং এ রেলক্রসিংয়ে দ্রুতই রেলগেট ও গেটম্যান বসানো হবে বলে আশ্বাসে দেন। এ আশ্বাসে আন্দোলকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আসিফ