
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার জনপ্রিয় সংরক্ষিত রেস্টুরেন্ট ব্র্যান্ড স্বত্বাধিকার ‘কাচ্চি ডাইন’, যার নাম শুনলেই ভোজনরসিকদের জিভে জল আসে। রাজধানীতে ব্যাপক জনপ্রিয় এই রেস্টুরেন্টের নামে সদৃশতা রেখে চাঁদপুর শহরে গড়ে উঠেছে নতুন একটি রেস্টুরেন্ট ‘কাচ্চি ডাইনিং’, যাতে নাম, লোগো, রঙ ও ফন্টের এমন অভিন্ন ব্যবহার হয়েছে যে, সচেতন ভোজনরসিকরাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
চাঁদপুর শহরের জোড়পুকুরপাড় এলাকায় মীর শপিং কমপ্লেক্সে এর তৃতীয় তলায় ‘কাচ্চি ডাইনিং’ রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী ৩০% ছাড়ের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।
এই সুযোগ পেয়ে ভোক্তাদের ভিড় লক্ষ করা যায়। তবে উদ্বোধনের দিন থেকেই শহরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও প্রশ্ন।
অনেকেই একে ‘ব্র্যান্ড জালিয়াতি করে ভোজনপ্রেমীদের সাথে নিয়মিত প্রতারণা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ডাইনিং কর্তৃপক্ষকে।
খোঁজ জানা গেছে, ‘কাচ্চি ডাইন’ একটি ট্রেডমার্ককৃত প্রতিষ্ঠান। এর নাম ও লোগো নিবন্ধিত। চাঁদপুরে যে ‘কাচ্চি ডাইনিং’ নাম ব্যবহার করা হচ্ছে, তার জন্য ঢাকার মূল কোম্পানির সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। শুধু নাম নয়, অভিযোগ রয়েছে রেস্টুরেন্টটির ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও লোগো নিয়েও। এবং রঙের সংমিশ্রণ পর্যন্ত ঢাকার মূল ‘কাচ্চি ডাইন’ থেকে হুবহু কপি করা হয়েছে।
কাচ্চি ডাইনিং এ আসা ভোজনপ্রেমী তাহমিনা বেগম বলেন, ‘প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম, ঢাকার সেই আসল কাচ্চি ডাইনই চাঁদপুরে এসেছে। কিন্তু পরে খেয়াল করে দেখি, নামটা একটু অন্যরকম।’
তিনি বলেন, এ নামে রেস্টুরেন্টে পরিচালনার মাধ্যমে ভোজনপ্রেমীদের সাথে নিয়মিত প্রতারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ‘কাচ্চি ডাইন’-এর ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মুশফিকুর রহমান বলেন, “আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ‘কাচ্চি ডাইন’ একটি ট্রেডমার্ককৃত ব্র্যান্ড, যার সঙ্গে ‘কাচ্চি ডাইনিং’-এর কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমাদের নাম, লোগো ও ডিজাইন নকল করে মানুষকে নিয়মিত ধোকা দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। আমারা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখছি।”
তিনি আরও জানান, চাঁদপুরে ভোজনপ্রেমীদের জন্য আগামী ছয় মাসের মধ্যে ‘কাচ্চি ডাইন’ নিজস্ব শাখা চালু করা হবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলেও এ ধরনের ব্র্যান্ড সাদৃশ্য ও প্রতারণামূলক কার্যক্রম ভোক্তার আস্থা নষ্ট করে এবং বাজারে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অভিযোগ দায়ের করে, তাহলে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাকিব