ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

পটুয়াখালীতে মুক্তিপণ না পেয়ে গুম-খুন, ১৭ বছর পর আশুলিয়া থেকে আসামি গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:৫৯, ৪ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালীতে মুক্তিপণ না পেয়ে গুম-খুন, ১৭ বছর পর আশুলিয়া থেকে আসামি গ্রেফতার

পটুয়াখালীতে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরিফুর রহমান (৩৪) ওরফে ঘুডু আরিফকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী পুলিশ। গত ৩ জুলাই আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে পটুয়াখালীতে আনা হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হলো আরিফ। সে পৌর শহরের সরকারি কলেজ রোড এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

২০০৯ সালে পটুয়াখালীতে ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক মো. মামুন মিয়া হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিল আরিফ।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, “২০০৯ সালের দিকে জেলা শহরে ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক মামুনকে অপহরণ করে আরিফ ও তার সহযোগীরা। এরপর পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না দেওয়ায় মামুনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।”

এ ঘটনায় মামুনের পরিবার সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত আরিফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিল।

ওসি আরও জানান, “আসামি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকায় ২০১৬ সালের ১৫ জুন পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে সোর্স নিয়োগ করে জানা যায়, আরিফ আশুলিয়া থানা এলাকার পল্লীবিদ্যুৎ সংলগ্ন একটি মাছের আড়তে মূল পরিচয় গোপন রেখে কাজ করছে।”

পুলিশের অভিযানে শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।

ওসি জানান, “এছাড়াও ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী স্পেশাল জজ আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে আরও একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় আদালত তাকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাভোগের আদেশ দেন। শুক্রবার দুপুরে আরিফকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।”

মিমিয়া

×