
বন্যার আগাম প্রস্তুতি নিতে এবং এই সময় জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জনসচেতনতা তৈরিতে গাইবান্ধায় প্রশিক্ষণমূলক মহড়ার (মক ড্রিল) আয়োজন করা হয়েছে। ২৪শে মে শনিবার শহরের এনএইচ মডার্ন হাই স্কুল মাঠে বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে সেখানে বর্ষাকালীন বন্যা নিয়ে ন্যাশনাল আর্লি এ্যাকশন প্রটোকলের প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন বা সিমুলেশন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, কেয়ার বাংলাদেশ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), ফ্রেন্ডশিপ, আইএফআরসি, রিমস, সেভ দ্য চিলড্রেন, এসকেএস ফাউন্ডেশন, স্টার্ট নেটওয়ার্ক এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতা করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে গাইবান্ধা জেলাটি বন্যাপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতি বছর মৌসুমি বন্যার সম্মুখীন হয়, যা মানুষের জন্য অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সৃষ্টি করে। বন্যার কারণে এলাকার মানুষ কৃষি, পশুপালন, মৎস্য, যোগাযোগ ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হন।
বন্যার আগাম প্রস্তুতি বন্যাপ্রবণ এলাকায় প্রাণহানি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদি পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়, তাহলে তাদের দুর্ভোগ ও দুঃখ এবং জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আব্দুল ওয়াদুদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ত্রাণ) মো. রবিউল ইসলাম, ডব্লিউএফপি’র রেজিলিয়েন্স ইনোভেশনের প্রধান সিদ্দিকুল ইসলাম খান, কেয়ারের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টও (প্রোগ্রাম) এমবেত মেনা, গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম সরকার এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
রাজু