
পটুয়াখালীর দশমিনায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে দশমিনা উপজেলার রনগোপালী ইউনিয়নের দক্ষিণ যৌতা হাওলাদারবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি কাওসার হাওলাদার, তিনি ওই গ্রামের মো. কামাল হাওলাদারের মেঝ ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের খাবার শেষে কাওসার ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী মোসা. ফারজানা বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। কাওসারের চিৎকারে প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত কাওসারের বাবা মো. কামাল হোসেন বলেন, “মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা আড়াই মাস আগে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের আগে ফারজানা গোপন করে যে তার আগে দুটি বিয়ে হয়েছে এবং দুটি সন্তান আছে। বিষয়টি জানার পর থেকেই তাদের মধ্যে অশান্তি চলছিল।”
অভিযুক্ত স্ত্রী ফারজানা বেগম বলেন, “আমি রংপুরের মেয়ে। আমার আগের স্বামী আমাকে সংসার ছাড়তে বাধ্য করেন। এরপর আড়াই মাস আগে কাওসারের সঙ্গে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছিল।”
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আলীম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নুসরাত